সংক্ষিপ্ত
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত সেই দিকে তাকিয়ে সরকারি কর্মীরা। বার বার ডিএ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ সরকারি কর্মীরা।
কেন্দ্র সুখবর দিয়েছে আগেই। একের পর এক ঘোষণায় সমানে ডিএ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র সরকার। ওদিকে বহুদিন থেকেই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। মাত্র ১৪% হারে মিলছে DA, এর মধ্যেও ঠকেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? DA মামলার মাঝেই শোরগোল।
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত সেই দিকে তাকিয়ে সরকারি কর্মীরা। বার বার ডিএ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ সরকারি কর্মীরা। সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছেন তারা। এদিকে এরই মধ্যে সম্প্রতি বিরাট মন্তব্য করেছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপালয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
সম্প্রতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে মলয়বাবু লেখেন, ‘বিষয়:- ডিএ এবং পে কমিশন। আমাদের রাজ্যে একটি পে-কমিটি (১৯৭০) হওয়ার কারনে ৫ম বেতন কমিশনের জায়গায় তা ৪র্থ এবং ৭ম এর জায়গায় ৬ষ্ট হয়েছে৷’ এরপর তিনি লেখেন, ‘এবার আসি Actual effect এবং Notional effect-এর বিষয়টিতে৷ বেতন কমিশনের সুপারিশ কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নিদিষ্ট সময় মতো বেতন বৃদ্ধি করাকে Actual effect বলে! অপরদিকে Notional effect, বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধি হলো কিন্তু সেই বকেয়া বেতন একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত হাতে পাবেন না৷ কি কিউট তাই না!’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই সিস্টেমটি বাম আমলের সৃষ্টি৷ তবুও বলবো বাম আমলের Notional effect সহ্য করা গেলেও তৃণমূল সরকারের আমলে তা অসহ্য৷’ এর সঙ্গে একটি চার্ট পোস্ট করেন মলয়বাবু। সেখানে লেখা, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের অ্যাকচুয়াল এফেক্ট ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি। আর পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বেতন কমিশনের নোশনাল এফেক্ট ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি।’
এরপর তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রের পঞ্চম বেতন কমিশনের ডিএ মিলতে শুরু করে ১৯৯৬ সালের ১ জুলাই থেকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ বেতন কমিশনের ডিএ দেওয়া শুরু হয় তার পরের বছর থেকে। ১৯৯৭ সালের ১ অগস্ট থেকে (১৩ মাস বকেয়া)।’ তার সাথে বর্তমান বেতন কমিশন নিয়ে বলা হয়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনের অ্যাকচুয়াল এফেক্ট ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। আর পশ্চিমবঙ্গের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের নোশনাল এফেক্ট ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে।’