শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস। নিরাপত্তার জন্য গোটা হাসপাতাল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ডিজিটাল এক্সরে, টিকিট কাউন্টার রয়েছে একতলায়। দোতলায় রেডিওলজি বিভাগ লাগোয়া চত্বরে একটি পিপিপি মডেলে ডায়গনিস্টিক সেন্টার চলে। তার সিটি স্ক্যানের জায়গা, সেখানেই আগুন লেগেছে বলে খবর। সেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ১০টি ইঞ্জিন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে বলে জানাচ্ছে দমকল।

শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস। নিরাপত্তার জন্য গোটা হাসপাতাল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার রোগীর সুস্থতার ঠিকানা এই সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল। স্বাভাবিকভাবেই মুহুর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল জুড়ে। ছোটাছুটি শুরু করে রোগীর পরিজনেরা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

Scroll to load tweet…

হাসপাতালের যে জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, সেটি অত্যন্ত বদ্ধ জায়গা। ফলে এখানে কোনও ওয়ার্ড না থাকলেও এক তলায় রোগীর আত্মীয়রা সারা রাত থাকেন। এই পুরো জায়গাটি এমার্জেন্সি বিল্ডিং নামে পরিচিত। যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে কোনও ওয়ার্ড না থাকলেও, অনেকগুলি বিভাগ রয়েছে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল মন্ত্রী বলেন, আমাদের ২টো ইঞ্জিন ওখানে থাকে। কাজ করে। আপাতত ৯টা ইঞ্জিন কাজ করছে। যেখানে আগুন লেগেছে আমাদের লোকেরা সেখানে ঢুকে গিয়েছে। তবে প্রচুর ধোঁয়া তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সিটি স্ক্যান ও ইউএসজি মেশিন রুমে আগুন লাগে বলে দমকল সূত্রে খবর।

Scroll to load tweet…

রাতেই এসএসকেএমে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “এসএসকেএমটা যদি কেউ চেনে তাঁর নাম মদন মিত্র। এসএসকেএম মানে এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতটাই নজর নিউরো সার্জারির একজন রোগীর গায়ে একটা আঁচড়ও লাগেনি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের সরানো হয়েছে।”

এসএসকেএমে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে মন্ত্রী আছেন, স্বাস্থ্য সচিব আছেন, ডিজি ফায়ার সার্ভিসেস আছেন, ডিসি সাউথ আছেন। এখানে সিটি স্ক্যানের ঘর থেকে আগুন লাগে। মোটামুটি আগুন এখন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। কেউ ভিতরে নেই। কোনও আঘাত নেই, কোনও মৃত্যু নেই। এখন আগুন কেন লেগেছে তা ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে।”