সংক্ষিপ্ত
কিছু কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি উভয়কেই আক্রমণ করে। এই ধরনের সমস্যা এই সময় বেশি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার কয়েকটা স্ট্রেন এবং রোটাভাইরাস এই সমস্যার মূল কারণ।
শীতে অ্যাডিনোভাইরাস, নোরোভাইরাস, রোটাভাইরাস ইত্যাদি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। আর এই শীত বিদায়ের মরসুমে একের পর এক রোগে ভুগছে শহর কলকাতা। চিকিৎসকরা বলছেন শহরের হাসপাতাগুলির ওপিডি ভর্তি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ ও সর্দি কাশি জ্বরের রোগীতে।
কিছু কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি উভয়কেই আক্রমণ করে। এই ধরনের সমস্যা এই সময় বেশি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার কয়েকটা স্ট্রেন এবং রোটাভাইরাস এই সমস্যার মূল কারণ। সর্দি-কাশি, জ্বরের সঙ্গে লুজ মোশন বা পেট খারাপ, পেটে ব্যথা হতে থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, হাতের পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়া হল পেটের এই রোগ প্রতিরোধে প্রধান অস্ত্র। ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস হল এক ধরণের ভাইরাস। এর লক্ষণ সাধারণত জলযুক্ত মল, পেটে ব্যথা, বমি এবং কখনও কখনও জ্বর আসা।
যদিও এই রোগটি কয়েক দিনের মধ্যেই নিজে থেকেই সেরে ওঠে। এটি শিশু এবং বয়স্ক-প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণগুলির সঙ্গে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদের সম্মুখীন হয়েছি। তাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণ গুরুতর না হলে ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই।
চিকিৎসকেরা মনে করেন, যাঁদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হয় বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং শিশুদের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মেনে চললে এর কবলে পড়তে হয় না। এই সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে পারলে অনেকটাই দূরে রাখা যাবে এ ধরনের সংক্রামক রোগব্যাধি। পাকস্থলীর সংক্রমণ সম্পর্কিত ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য স্পাইক নেই। ওপিডি-তে রোগীরা নিয়মিত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিকাল সমস্যা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন, এবং মানসম্মত ওষুধ কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।