সংক্ষিপ্ত

প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। তবে শুধু ব্যক্তি নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়২৮টি সংস্থা, ট্রাস্ট ও ফার্মের নামও রয়েছে।

 

প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। তেমনই একাধিকবার দাবি করেছে এনফোর্স । কিন্তু এবার এই মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিটে দুর্নীতির হিসেব দিল ইডি। শুধু তাই নয়। কার কাছ থেকে কত নগদ ও বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ইডি দাবি করেছে প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির পরিমাণ মোট ১৫১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা।

প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। তবে শুধু ব্যক্তি নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়২৮টি সংস্থা, ট্রাস্ট ও ফার্মের নামও রয়েছে। সংস্থা ও ব্যক্তি মিলিয়ে এই মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ৫৪। এদের মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য।

কার কাছে কত টাকা

চার্জশিটের ২০ নম্বর পাতায় ইডি উল্লেখ করেছে সবথেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতার মাধ্যমে। ২০ নম্বর পাতায় রয়েছে 'অপা'র কাছ থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০ কোটির বেশি টাকা। অর্পিতার বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ ১০৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদনতে ২০২২ সালে ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা হানা দেয়। ইডি জানায় টালিগঞ্জের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল বিদেশি মুদ্রা ও সোনার গয়নাও। এরপরে ওি বছরই অর্পিতার আরও দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।