সংক্ষিপ্ত
‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা দিয়ে দেওয়ার অনেক বছর পরেও কোনও ক্রেতা ফ্ল্যাট পাননি। অভিনেত্রী নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি পাম অ্যাভিনিউয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন
ফ্ল্যাট বিক্রি করা নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কাছ থেকে ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক একটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল বিপুল অঙ্কের টাকা। সেই টাকা টলিউড অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে দিলেও তাঁরা কেউ ফ্ল্যাট পাননি বলে অভিযোগ।
এবার এই কান্ডে মঙ্গলবার নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। এদিন ইডির অফিসে হাতে নথি নিয়ে ঢুকতে দেখা যায় সাংসদ অভিনেত্রীকে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৭ মিনিট নাগাদ সাদা রঙের নীলবাতি লাগানো গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বেরোন নুসরত। সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন নুসরত। তবে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার আগে নুসরত নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা দিয়ে দেওয়ার অনেক বছর পরেও কোনও ক্রেতা ফ্ল্যাট পাননি। অভিনেত্রী নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি পাম অ্যাভিনিউয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রতারিত কর্মীদের অভিযোগ যে, প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাঁদের মামলা গ্রহণ করেনি। এরপর তাঁরা আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত এই মামলায় পর পর ২ বার নুসরতের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। সেই সময়ে তিনি হাজিরাও দেননি বলে জানা গেছে। বঙ্গের বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল ফেলে দেওয়ার পর সেই মামলায় নুসরতকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
যদিও সেসময়ে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন যে, ওই কোম্পানি থেকে তিনি ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ধার নিয়েছিলেন। তারপর ২০১৭ সালে সুদসমেত তিনি ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন। লেনদেন সংক্রান্ত ব্যাঙ্কের নথিও তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার আরেক কর্তা রাকেশ সিং বলাছিলেন যে, এই কোম্পানি নুসরত জাহানকে কোনও ঋণই দেয়নি। নুসরত কোম্পানির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। তারপর ৬ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সংস্থার কোনও যোগাযোগ নেই। সেই দাবির পর ইডি নুসরতকে বিপুল আর্থিক নয়ছয়ের বিষয়ে কী প্রশ্ন করে, সেটাই এখন জানার বিষয়।