সংক্ষিপ্ত

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফের বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। প্রয়োজনে ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ নেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। সোমবারের মত মঙ্গলবারও বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্যকে রাইলস টিউব দিয়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।

শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি ধীরে হলেও লক্ষ্যণীয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে রক্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বুদ্ধদেবের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখাটা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। ফলে তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০-এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ জন্য আপাতত তাঁকে এক ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

বিশেষ সূত্রে খবর বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফের বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। প্রয়োজনে ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ নেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। সোমবারের মত মঙ্গলবারও বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্যকে রাইলস টিউব দিয়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ দিনে তা চলবে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতাল সূত্রের খবর এদিন বুদ্ধবাবু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। হাসপাতালে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রয়েছেন সিপিআই(এম)এর বেশ কয়েকজন নেতাও।

শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রীতিমত সংকটজনক অবস্থায় গ্রিন করিডোর করে পাম অ্যাভেনিউ থেকে উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তাঁর রক্তে সংক্রমণের মাত্র ৯০ এর নিচে নেমে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা ছিল। শনিবার রাতেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রবিবারও ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সময় শারীরিক অবস্থান অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ হয়ে রয়েছেন।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর ক্রিয়েটিনিন আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আপাতত পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ চলবে। মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তাও বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সোডিয়াম-পটাশিয়াম মাত্রা ঠিক রয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিকও চলছে। যার জেরে তাঁর কিডনিতে প্রভাব পড়তে পারে।

আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বুদ্ধদেবকে। পরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে’ রাখা হয়েছিল। যদিও সেখান থেকে তাঁকে বার করে আনা হয় সোমবার দুপুরে। পরে ধীরে ধীরে তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

এর আগে হাসপাতাল জানিয়েছিল হাসপাতাল সূত্রের খবর রক্তে অক্সিজেন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্যই বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবুর পরিবারের সম্মতিতেই এই ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এদিন বুকের সিটিস্ক্যান করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। সংক্রমণের মাত্রার সূচক সিআরপি পরীক্ষাও করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ফুসফুসে সংক্রমণ শনিবার যা ছিল তার অর্ধেক রয়েছে। অর্থাৎ চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তবে প্রয়োজনে আবারও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আবার দেওয়া হতে পারে।