সংক্ষিপ্ত
দবপুরেরই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তর হাতে অস্থায়ী উপাচার্যের ভার দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গত ৪ অগাস্ট তিনিই অমিতাভ দত্তকে ইস্তফা দিতে বলেন।
যাদবপুরকান্ডের ১০ দিনের মাথায় নতুন উপাচার্য পেল বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেঅস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ-এর হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক তিনি। উল্লেখ্য গত ৩১ মে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ইস্তফা দিয়েছেন সুরঞ্জন দাস। এরপর থেকেই যাদবপুরেরই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তর হাতে অস্থায়ী উপাচার্যের ভার দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গত ৪ অগাস্ট তিনিই অমিতাভ দত্তকে ইস্তফা দিতে বলেন। এর পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্বদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেবিষয় রিপোর্ট তলব করল ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)। রবিবার রাতেই কর্তৃপক্ষের তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেবিষয় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে বুধবারের ঘটনার পরেই ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালইয়ের তরফে। কী ভাবে ওই ছাত্র হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে গেলেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ইউজিসিকে দেওয়া রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর নতুন ছাত্রদের হস্টেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রত্যেক বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক জন করে পরামর্শদাতাও নিয়োগ করা হয়েছে। এই মেন্টরদের নামও ইউজিসিকে পাঠানো হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পড়ুয়াকে। তবে শুধু এই তিনজন না। তদন্তে জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় হাত রয়েছে আরও চারজনের। সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন একজন বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী বলেও জানা গিয়েছে। বুধবারের ঘটনায় এই চারজনের ঠিক কী ভূমিকা ছিল সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে এই নতুন চার অভিযুক্ত ধৃত সৌরভ চৌধুরী ঘনিষ্ঠ। তবে ঘটনার পর তাঁরা ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রাক্তনী সহ বাকিদের খোঁজ নেই মেন হস্টেলেও। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে মৃত্যুর আগে তিন ঘন্টা সিনিয়রদের রুমে রাখা হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে। এই তিন ঘন্টায় ঠিক কী ঘটেছিল? এছাড়া অভিযুক্ত প্রাক্তন পড়ুয়া কতটা প্রভাবশালী ছিল সেবিষয়ও প্রশ্ন উঠছে।