সংক্ষিপ্ত
SSC Verdict: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম রায়ে মুহুর্তের মধ্যে চাকরিহারা প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে এই সব চাকরি প্রার্থীদের।
SSC Verdict: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম রায়ে মুহুর্তের মধ্যে চাকরিহারা প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে এই সব চাকরি প্রার্থীদের। আদালতের এমন রায়ে কার্যত দিশাহারা পশ্চিমবঙ্গের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই অবস্থায় এবার পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে শনিবার বেলা ৩ টেয় একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিলো যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
জানা গিয়েছে, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে ভাস্কর ঘোষ জানান, যাদের নামে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের বেতন সরকার দিক। তিনি আরও বলেন, ''একটা ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়েছি আমরা। স্বাধীন ভারতে এর আগে কোনও রাজ্যে এতবড় শিক্ষা সঙ্কট দেখা যায়নি। আর এই কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আবেদন, শনিবার আমরা একদিনের কর্মবিরতি পালন করি।'' সরকারের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর জোরদার করার বার্তাও দিয়েছেন ভাস্কর।
তিনি আরও বলেন, ''রাজ্যের শিক্ষাপরিকাঠামো একেবারে ধ্বংসের মুখে। তাই একটা দিন আমরা সবাই মিলে কর্মবিরতি পালন করি। ওই দিন কোনও পরীক্ষা থাকলে পিছিয়ে দিন। এক একটা স্কুল থেকে ৮-১০ জন করে শিক্ষক বাতিল হয়ে যাচ্ছেন। একসঙ্গে এত শিক্ষকের বরখাস্ত! এর দায় কে নেবে? এদের সংসার কে দেখবে ? আমরা যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। কারণ, আন্দোলন না করলে সরকার সহজে তালিকা প্রকাশ করবে না। মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের নিয়ে কিছু বলছেন না বরং অন্য কথা ঘুরিয়ে অযোগ্যদের রক্ষা করে চলেছেন।''
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে অনেক দিন ধরে পথে বসে আন্দোলন চালাচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। এবার চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ানোর ডাক দিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ।
অন্যদিকে, একসঙ্গে রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে চাকরিহারাদের পাশে মানবিক ভাবে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চাকরি বাতিল নিয়ে বাম-বিজেপিকে একসঙ্গে নিশানা করেন তিনি। এই ঘটনার জন্য বিজেপি এবং সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই পরিবারগুলি অচল হয়ে গেলে বিজেপি-সিপিএমও সচল থাকবে না। কোনও ঘটনা ঘটলে, দায়িত্ব আপনাদের হবে।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।