সংক্ষিপ্ত

আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ এর আগেও জাতীয় অপরিষ্কার গ্লাভস দেওয়া হত। যার কারণে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি রোগীদেরও জীবন বিপন্ন হয়ে উঠত।

 

আবারও অভিযোগ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা যেখানে অনশ করছেন সেখানেই স্পষ্ট হচ্ছে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা। আন্দোলনের মধ্যেই আরজি করের ট্রমা কেয়ের ইউনিটের গ্লাভস ও সেলাইনের বোতল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ, ট্রমা কেরালে প্যাকেট বন্দি গ্লাভসে লেগে রয়েছে রক্ত। পাশাপাশি সেলাইনের বোতলে রয়ছে ছত্রাক। তবে শুধু আরজি কর নয়, রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেলাইনের বোতল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে সেলাইনের বোতলে বাসা বেঁধেছে ছত্রাক। ব্যবহৃত হওয়া সিরিঞ্জও প্যাকেট করে সরবরাহ করা হচ্ছে। যার অর্থ রোগীদের জীবন বিপন্ন।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্য়ের স্বাস্থ্য সচিব নায়ারণ স্বরূপ নিগম গ্লাভসগুলিকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, 'সেন্ট্রল মেডিক্যাল স্টোরকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই গ্লাভসগুলিও আলাদা করে সরিয়ে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। '

আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ এর আগেও জাতীয় অপরিষ্কার গ্লাভস দেওয়া হত। যার কারণে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি রোগীদেরও জীবন বিপন্ন হয়ে উঠত।

আরজি করের ইন্টার্ন দেবারুণ সরকার এক রোগীর চিকিৎসার সময় রক্তমাখা গ্লাভস দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে এক জন এইচআইভি রোগী এসেছিলেন। তাই তাঁর রক্ত নেওয়ার জন্য আমি গ্লাভস চেয়েছিলাম। প্যাকেট থেকে বার করা প্রথম গ্লাভসটাই ছিল নোংরা। ভেবেছিলাম, কেউ রাতে কাজ করে ভুলবশত নতুন গ্লাভসের সঙ্গে সেটি রেখে দিয়েছেন। সেই গ্লাভস ফেলে অন্য গ্লাভস নিলাম। তাতেও দেখলাম রক্তমাখা। ওই প্যাকেটের প্রায় সব গ্লাভসেই একই সমস্যা রয়েছে। নার্সকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানালেন, বৃহস্পতিবার সকালেই সেই প্যাকেট খোলা হয়েছে। অর্থাৎ, রক্তমাখা গ্লাভসই হাসপাতালে এসেছে।’’

জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি এই সামগ্রিক ব্যবস্থারই পরিবর্তনই চাইছেন তাঁরা। সেই কারণেই এই দীর্ঘ আন্দোলন। এই আন্দোলন তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য় ব্যবস্থার জন্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।