- Home
- West Bengal
- Kolkata
- 'চাপিয়ে দেওয়া শর্তে বৈঠক নয়'! পঙ্গপালের মতো না গিয়ে ডাক্তাররা চাইছেন গঠনমূলক আলোচনা
'চাপিয়ে দেওয়া শর্তে বৈঠক নয়'! পঙ্গপালের মতো না গিয়ে ডাক্তাররা চাইছেন গঠনমূলক আলোচনা
- FB
- TW
- Linkdin
উল্লেখ্য, রবিবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে প্যান জিবি বৈঠক হয়
তারপরেই তাদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তারা। প্রসঙ্গত, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচ্য বিষয়ের রূপরেখা ঠিক করতেই এদিন বৈঠকে বসেন তারা।
নজরে সোমবার বিকেলের হাইভোল্টেজ বৈঠক
কতজন এবং কারা কারা সেই বৈঠকে যেতে পারেন, তাছাড়া ১০ দফা দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের কী কী বক্তব্য হতে পারে, এইসব নিয়েই জিবিতে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগেও বৈঠকে প্রতিনিধি সংখ্যা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের মতবিরোধ তৈরি হয়
তবে সোমবারের বৈঠকে যাতে প্রতিনিধি সংখ্যা নিয়ে সমস্যা না তৈরি না হয়, জিবিতে সেই বিষয়েই আলোচনা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা চাইছেন
তাই ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’ যাতে না হয়, সেদিকেও নজর দিয়েছেন অনেকে। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট কথা, “তারা পঙ্গপালের মতো যেতে চাইছেন না। চাপিয়ে দেওয়া শর্তে নয়। বরং আলোচনা হোক নির্দিষ্ট এবং গঠনমূলক। প্রচুর লোক গেলে সেই পরিসর সঙ্কুচিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থেকে যায়।”
সংখ্যা ঠিক হয়নি
সোমবারের বৈঠকে শেষপর্যন্ত, কতজন যাবেন, সেই সংখ্যা এখনও ঠিক হয়নি। সরকারের বেঁধে দেওয়া সংখ্যার মধ্যে বা তার থেকে সামান্য বেশি প্রতিনিধি নিয়েই জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্নে যাবেন বলেই অনেকে মনে করছেন।
প্রতিনিধিদের সংখ্যা এবং নাম ঠিক করতে ধর্মতলায় সোমবার দুপুরে শেষ পর্যায়ের আলোচনা (Discussion)
সেখানেই প্রতিনিধির সংখ্যা ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মুখ্যসচিবের চিঠি পাওয়ার পরে শনিবার রাতেই বসে তড়িঘড়ি বৈঠক
অনশন তুলে বৈঠকে যোগ দেওয়ার সংক্রান্ত নবান্নের শর্ত মেনে বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। তবে শনিবার, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারার জেরেই রবিবার, আবার প্যান জিবি হয় এনআরএসে।
মুখ্যসচিবের চিঠির পাল্টা উত্তরে ইমেইলে কী কী লেখা থাকবে, তা ঠিক হয় ওই বৈঠকে
এছাড়াও, আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে জিবিতে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অতীতের তুলনায় সোমবারের বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন একাধিক জুনিয়র ডাক্তার।
কারণ, ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ চলছে এবং আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে
ফলে, এবার আলোচনা আরও গুরুত্ব সহকারে হওয়া উচিৎ বলেই মনে করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সেই আলোচনায় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা কীভাবে এবং কোন কোন বিষয়ে কথা বলবেন, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়
জুনিয়র ডাক্তাররা জোর দিতে চাইছেন, তাদের দাবি কীভাবে প্রশাসন মানবে, মূলত সেই দিকেই। নবান্নের বেঁধে দেওয়া ৪৫ মিনিটে কীভাবে তারা নিজেদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বলতে পারেন, তা নিয়েও জিবিতে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তাই সময় নষ্ট না করে প্রতিটি মিনিট ধরে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে চান জুনিয়র ডাক্তাররা
সেইসঙ্গে, ১০ দফা দাবির প্রেক্ষিতে সরকারকে কিছু পরামর্শও দিতে চাইছেন তারা। আগামীতে কী কী করা যেতে পারে, সেই বিষয়েও জিবিতে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জুনিয়র ডাক্তাররা আগেই জানান,
তাদের দাবির মধ্যে চারটিই হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো বিষয়ক। হাসপাতালগুলিতে কেন্দ্রীয় ভাবে রেফারেল ব্যবস্থা, শূন্য বেড সংখ্যার ডিজিটাল মনিটরিং, কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স, সিসিটিভি, প্যানিক বাটন, হেল্পলাইন নম্বর এবং সিভিকের বদলে মহিলা পুলিশকর্মী চাই বলে দাবি করেছেন তারা।
সেক্ষেত্রে সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে তার সুস্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
এছাড়াও, কিছু দাবির ক্ষেত্রে রাজ্য সেগুলিকে বিচারাধীন বিষয় বলে উল্লেখ করেছে। সেই বিষয়গুলিতে সরকার কতটা কী করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয় সেই জিবিতে।