সংক্ষিপ্ত
শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো হওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন বুদ্ধদেব। এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন দাশো শেরিং ওয়াংদা।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় পুষ্প স্তবক পাঠালেন ভুটানের রাজা। বুধবার দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন তিনি। এদিন সকালেই 'বন্ধু' বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে আসেন ভুটানের প্রাক্তন কনসাল জেনারেল দাসু শ্রিং ওয়াংদা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে সময় বাংলাঢ় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ই ভুটানের কনসাল জেনারেল ছিলেন দাসু শ্রিং ওয়াংদা। বাম নেতার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা অনেকেরই জানা ছিল। শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো হওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন বুদ্ধদেব। এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন দাশো শেরিং ওয়াংদা।
বুধবার কড়া পর্যবেক্ষণের পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল। বাড়ি ফেরার পথে তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং একজন চিকিৎসক। এখনও তাঁকে ক্রমাগত নজরদারিতেই রাখতে বলেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের সকলকে আশীর্বাদ জানিয়ে খুশি মনে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মীরা ভট্টাচার্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাড়িতে তাঁর জন্য বাইপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন। টানা ১ মাস তাঁকে হোম কেয়ার সাপোর্টে রাখা হবে। হাসপাতাল থেকে ১ জন নার্সও সর্বক্ষণ তাঁর পরিচর্যায় নিযুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে চলতি বছরের ২৯ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শরীরে ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল অক্সিজেনের মাত্রা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সি-প্যাপ সাপোর্ট দিয়ে আইসিইউ-তে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর ঘুমের ওষুধের মাত্রা কমিয়ে আনা হয়। তখনই দেখা যায়, কানে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন বুদ্ধদেব, অন্য মানুষের কথা উত্তরে সাড়াও দিচ্ছেন তিনি। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁর শারীরিক ক্ষমতা বাড়িয়ে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা।