- Home
- West Bengal
- Kolkata
- কেন 'নিয়ম ভেঙে' আরজি করের নির্যাতিতার দ্রুত ময়নাতদন্ত? পুলিশের ভূমিকায় আবারও প্রশ্ন
কেন 'নিয়ম ভেঙে' আরজি করের নির্যাতিতার দ্রুত ময়নাতদন্ত? পুলিশের ভূমিকায় আবারও প্রশ্ন
| Published : Sep 10 2024, 05:26 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হত্যাকাণ্ড
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার তাতে জুড়ল আরও একটি অভিযোগ।
বিস্ফোরক চিঠি
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একটি চিঠি। সেখানে বলা হয়েছে জোর করে পোর্টমর্টেম করানো হয়েছে।
সন্ধ্যের পরে ময়না তদন্ত
নিয়ম অনুযায়ী সন্ধের পরে আর ময়নাতদন্ত হওয়ারই কথা হয়। কিন্তু আরজি করের নির্যাতিতার ক্ষেত্রে ভাঙা হয়েছিল নিয়ম।
কিন্তু কেন?
কেন এই নিয়ম ভাঙা হল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিবারের দাবি পুলিশ জোর করেছিল। দেহ রাখতে চাইলেও তা রাখতে দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন তাই জোর করে দ্রুততার সঙ্গে পোস্টমর্টেম করা হয়েছিল।
সিবিআই-এর হাতে চিঠি
সূত্রের খবর তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একটি নোট । তাতেই জল্পনা আরও বাড়ছে।
ময়নাতদন্ত দলের এক সদস্যের নোট
তিন সদস্যের একটি দল ময়নাতদন্ত করে। কিন্তু এক সদস্য রীনা দাস বিশেষ অনুমতির নোট লিখে দেন।
বিশেষ নোট
রীনা দাস বলেছিলেন বিকেল ৪টের পরে ময়না তদন্ত করাতে গেলে লাগবে বিশেষ অনুমতি। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্য দফতরের পুরনো মেমোর উল্লেখও করোন। জানান, সেই অনুসারে বিকেল ৪ টের পর পোস্টমর্টেম করতে গেলে বিশেষ নির্দেশ লাগবে। তারপরই পুলিশ তড়িঘড়ি সেই বিশেষ অনুমতি জোগাড় করে।
পুলিশের ভূমিকা
তৎপর হয় পুলিশ। বিশেষ করে টালা থানার ওসি। আর জি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি লেখেন টালা থানার ওসি ! তিনি লেখেন জরুরি পরিস্থিতিতে এবং কিছু বিশেষ ইস্যুতে বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হোক।
তড়িঘড়ি ময়না তদন্ত
তারপরই তড়িঘড়ি ময়না তদন্ত হয়। দ্রুত দাহ করা হয় আরজি করের নির্যাতিতার দেহ।
ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। চালান ছাড়া কী করে ময়না তদন্ত হল তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি।
কেন এত তৎপরতা
এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন আরজি করের নির্যাতিতার দেহ দ্রুত দাহ করতে এত তৎপর হল পুলিশ। যেখানে নির্যাতিতার বাবা ও মা দেহ রাখতে চেয়েছিলেন সেখান কেন আরও একটু অপেক্ষা করতে দিল বা পুলিশ।