সংক্ষিপ্ত
বিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ আগুন লাগে। হাওয়ায় ক্রমশ আগুন ছড়াচ্ছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েই এই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে।
সল্টলেকে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে। ফাল্গুনী বাজারের পিছনে ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে বলে খবর মিলেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। রবিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ আগুন লাগে। হাওয়ায় ক্রমশ আগুন ছড়াচ্ছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েই এই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মারফত খবর ফাল্গুনী বাজার লাগোয়া এই বস্তিতে প্রায় পাঁচশোর মতন পরিবার বসবাস করে। হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রথমে আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল ও বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশকে। বসতি হওয়ার কারণে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীকে, পাশাপাশি একের পর এক সিলেন্ডার বিস্ফোরণ করছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের।
এলাকাটি অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলবাহিনীর সবক’টি ইঞ্জিন পৌঁছতে পারেনি এলাকায়। ফলে এলাকায় দশটি ইঞ্জিন থাকলেও আগুন নেভানোর কাজ করতে পারছে চারটি ইঞ্জিন। আবাসনের পাঁচিলের বাইরে থেকে হোসপাইপে করে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বাকি ইঞ্জিনগুলি। ফলে আগুন নেভাতে অসুবিধা হচ্ছে।
দমকলমন্ত্রী সুজিত জানিয়েছেন, প্রাণ হাতে করেই দমকলকর্মীরা অত্যন্ত সাবধানে সিলিন্ডার উদ্ধারের কাজ করছেন। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হচ্ছে। তবে দ্রুত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন সুজিত। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা। মেয়র জানিয়েছেন, আপাতত আশ্রয়হীনদের একটি কমিউনিটি হলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কৃষ্ণা বলেন, আপাতত আগুন নেভার অপেক্ষা করছি। এর পর রিপোর্ট দেখা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এই আশ্রয়হারাদের সরকারি নিয়মে মাথার ছাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জন্যই দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে। অন্তত ৫-৭টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফাল্গুনী আবাসনের বেশ কিছু বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঝুপড়িতে ব্যবহৃত অ্যাসবেস্টসের টুকরো ছিটকে এসে পড়েছে তিন তলা আবাসনের ছাদে।
দমকলবাহিনী সূত্রে খবর, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঝুপড়ির ভিতর থেকে সিলিন্ডার বের করে এনে তা ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করছে। যাতে আর বিস্ফোরণ না হয়। রাত ন’টা পর্যন্ত ১২ থেকে ১৫টি সিলিন্ডার উদ্ধার করতে পেরেছে তারা।