সংক্ষিপ্ত
বাংলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে তৃণমূল সমর্থকরা শহরে আসেন একুশে জুলাই এর সমাবেশে যোগ দিতে। এর ফলে কলকাতার জানযটে এই জনজোয়াড় সামলাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের।
কলকাতায় একুশে জুলাই এর সমাবেশ মান গোটা শহর জুড়ে ট্রাফিক। আর তার জন্যই শহরের একাধিক রুটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। বাংলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে তৃণমূল সমর্থকরা শহরে আসেন একুশে জুলাই এর সমাবেশে যোগ দিতে। এর ফলে কলকাতার জানযটে এই জনজোয়াড় সামলাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন যে, 'কলকাতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করা হতে পারে। কারণ সকাল থেকেই একুশে জুলাই এর সমাবেশে যোগদানের জন্য জেলা ও জেলা স্তর থেকে একাধিক মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছেন।' একুশে জুলাই এর সমাবেশ কে কেন্দ্র করে যাতে কোন রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ। আজ ভোর চারটে থেকেই শহর জুড়ে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দুপুর ১২ টার পর হাওড়া ব্রিজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হতে পারে। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে আজ ভোর তিনটে থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞ রয়েছে। দ্বিতীয় হুগলী সেতু এবং হেস্টিংস ক্রসিং এর কাছে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়াও সট্রান্ড রোড, বেন্টিং স্ট্রিট, বেঙ্গলি স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, বউবাজার, ব্রেভন রোড এলাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ করছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়া যেই রাস্তা গুলি খোলা রয়েছে সেইগুলি হল মেও রোড, পার্ক স্ট্রিট, রেড রোড। লালবাজারে তরফ থেকে জানানো হয়েছে একুশে জুলাই এর সমাবেশ কে কেন্দ্র করে শহর সচল থাকে তার জন্য বাড়তি চেষ্টা করা হচ্ছে। শিয়ালদা এবং বাইপাসের ধারে যে সকল হাসপাতাল সেইখানে যান চলাচল থাকে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোথাও কোনও বেআইনি পার্কিং দেখলে সেখান থেকে সরাসরি সরিয়ে নিয়ে স্থানীয় ট্রাফিক গার্ডে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।