সংক্ষিপ্ত

বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়লেও, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যে শীতের আমেজ কিছুটা কমবে। শনিবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

ক্যালেন্ডার বলছে প্রায় মাঝ ডিসেম্বর। অথচ তোমার দেখা নাই রে, তোমার দেখা নাই বলে গলা ছেড়ে গান ধরতে চাইছে গোটা শহর। শীত কোথায়! উধাও কেন! সারা কলকাতা আর শহরতলি জুড়ে এখন এই একটাই প্রশ্ন। বিশ্বকাপ উত্তাপের পারদ চড়াচ্ছে, আর কলকাতায় বোঝাই যাচ্ছে না যে এটা ডিসেম্বর! শীত কবে আসবে সে প্রশ্নের উত্তর সুপর্ণা কেন, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরাও দিতে পারছেন না। সোমবার অর্থাৎ ১২ই ডিসেম্বর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ও সর্বনিম্ন থাকবে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে নেই বলেই জানানো হচ্ছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯১ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৪১ শতাংশ।

আলিপুর জানাচ্ছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা- এই জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

উত্তরবঙ্গে আপাতত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে। ১৮ই ডিসেম্বরের পর থেকে পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মান্দাসে। তবে এর প্রভাব সরাসরি পড়বে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি হয়েছে। বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়লেও, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যে শীতের আমেজ কিছুটা কমবে। শনিবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে কলকাতা ও দক্ষিণ বঙ্গের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। আগামী পাঁচ দিন কোন পরিবর্তন হবে না তাপমাত্রার। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কমবে তাপমাত্রা। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় রাজ্যে শীতের আমেজ কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত কোনও কোনও জেলায় শীতের আমেজ সামান্য কমবে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটু নিচে নামতে পারে পারদ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য অক্টোবরের শেষে এই শহরের পারদ নেমেছিল ২০ ডিগ্রির নীচে। এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ।