সংক্ষিপ্ত

প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই রাজপথে নামল বামেরা। শনিবার, লালবাজার অভিযানের ডাক দেয় বামেদের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন।

প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই রাজপথে নামল বামেরা। শনিবার, লালবাজার অভিযানের ডাক দেয় বামেদের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন।

আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের জেরে ফের একবার পথে নামল বামেদের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন। শনিবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট লালবাজার অভিযানের ডাক দেয় এসএফআই (SFI), ডিওয়াইএফআই (DYFI) এবং এআইডিডব্লিউএ (AIDWA)। কলেজস্ট্রিট থেকে এই অভিযানের ডাক দেয় তারা। আর আন্দোলনকারীদের গন্তব্য ছিল লালবাজার।

কিন্তু সকাল থেকেই লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়। কলকাতার একাধিক জায়গার মতো কলেজস্ট্রিটেও কার্যত এক হাঁটু জল জমে যায়। কিন্তু হাল ছাড়েননি তারা। প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করেই আন্দোলনে শামিল হয় বামেরা।

শুক্রবার, এই অভিযানের প্রচারও জোরকদমে শুরু করে দেন বাম কর্মীরা। প্রসঙ্গত, এর আগেও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের বাইরে তারা অবস্থানে বসেন। এমনকি, লাগাতার সেই অবস্থানের পর গত ১৪ অগাস্ট, বাম ছাত্র, যুব এবং মহিলারা সুবিশাল মশাল মিছিলও করেন শ্যামবাজার অবধি। ঠিক যেদিন রাতে আর জি করে হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর লালবাজার থেকে বাম নেতৃত্ব সহ অনেককেই নোটিস পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে, লালবাজারে তাদের তলবও করা হয়। কিন্তু নেতৃত্বরা দাবি করেন, তাদের সংগঠনের কেউ এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। সবথেকে বড় বিষয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেককে এও বলতে শোনা গেছে যে, সেদিন যদি বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নির্যাতিতার শববাহী গাড়িটি না আটকাতেন তাহলে হয়ত পুরো ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যেত।

এদিন বেলা ১.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হওয়ার কথা ছিল তাদের এই অভিযান। কিছুটা দেরি হলেও আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে এবং মিথ্যা মামলায় কর্মীদের ফাঁসানোর বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ কিন্তু থামেনি।

বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটতে শুরু করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, কনীনিকা বোস ঘোষ, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকুর রহমান, ময়ূখ বিশ্বাস, হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য এবং দেবাঞ্জন দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও বাম কর্মী-সমর্থকরা।

এমনকি, এই মিছিলে যোগ দেন পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকও। তিনিও হাঁটেন এই মিছিলে। টানা বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া রাস্তাও হার মানাতে পারল না বাম কর্মীদের। যদিও তাদের আটকাতে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। এরপর বামেদের বিশেষ প্রতিনিধিদল লালবাজারের ভিতর ঢুকে যায়। আর বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন অগণিত কর্মী-সমর্থক।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।