সংক্ষিপ্ত

মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬ শতাংশ। ১৬ জেলা থেকে প্রথম দশে রয়েছেন ১১৮ জন। প্রথম হয়েছেন দেবদত্তা মাঝি- কাটোয়া চৌধুরানী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তিনি।

মাধ্যমিক ২০২৩ -এর ফলাফল প্রকাশিত। প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছিলেন।পাশ করেছেন ৫,৬৫,৪২৮ জন মাধ্যমিকে। ৭৬ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করা হল। পুরুষ পরীক্ষার্থীর তুলনায় মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ বেশি। ৭৬দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশিত হল। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হয় ৪ মার্চ। পরীক্ষার দু’মাসের ব্যবধানে ফলপ্রকাশ করল পর্ষদ। এ বছরের মাধ্যমিকে কিউআর কোড থাকছে বলে জানালেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বছরের মাধ্য়মিকে ফেল করেছে ১ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী।

জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। তফসিলি উপজাতি পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৭৬ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬ শতাংশ। ১৬ জেলা থেকে প্রথম দশে রয়েছেন ১১৮ জন। 

মাধ্যমিকে প্রথম স্থান পেয়েছেন কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাই স্কুলের দেবদত্তা মাঝি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। যুগ্ম দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদহের রিফাত হাসান সরকার। মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছেন ছ’জন। মেধাতালিকার প্রথম দশে নেই কলকাতা। যুগ্ম চতুর্থ হয়েছেন সমাদৃতা সেন এবং অনীশ বাড়ুই। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন শুভজিৎ দে এবং অরিজিৎ মণ্ডল। পর্ষদ জানিয়েছে এবছর ৪৪ হাজার শিক্ষক খাতা দেখেছেন। দুপুর ১২টা থেকে ওয়েবসাইটে জানা যাবে ফল। 

কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করেছেে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দুপুর ১২টা থেকে নানা অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখটে পাবে পড়ুয়ারা। পড়ুয়ারা রেজাল্ট দেখতে পাবেন www.wbbse.wb.gov.in, http://wbresults.nic.in, www.exametc.com, www.indiaresults.com, www.results.shiksha, www.schools9.com, www.vidyavision.com, www.fastresult.in-ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এছাড়া 'Exametc.com', 'Madhyamik Results 2023'‌, '‌Madhyamik Results', 'FASTRESULT'-এই অ্যাপগুলির মাধ্যমেও রেজাল্ট দেখতে পারবেন পড়ুয়ারা।

২০২৩ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪। মোট পরীক্ষকের সংখ্যা ৪০ হাজার ৫০০। প্রধান পরীক্ষক ১১৫৩ জন। পরীক্ষা চালানোর জন্য ৩৫ হাজার ইনভিজিলেটর ছিলেন । ১২২৬টি সেন্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ২০২৩ সাল থেকে একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে পর্ষদ। এক ঘন্টা পর যদি কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে যেতে চান, তাহলে তখন তাঁকে নিজের প্রশ্নপত্রটিও জমা দিতে হবে সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে। অর্থাৎ, পরীক্ষার সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে সেই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরোতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিল পর্ষদ।