সংক্ষিপ্ত

সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, শহরের মধ্যে যেখানে চিড়িয়াখানা রয়েছে সেখানে জমির দাম সোনার দামের বেশি। তাই চিড়িয়াখানাকে অনেক আগেই কলকাতার বাইরে স্থানান্তরিত করার কথা উঠেছিল। তা ছাড়া শহরের উপর চাপ বাড়ছে, তাই আরও অধুনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন।

অর্থসংকট রাজ্য সরকারের কোষাগারে। তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সিদ্ধান্তে বহুমূল্যবান জমির সঠিক ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে সরকার কিছু রাজস্ব আয় করতেও চাইছে। এরমধ্যে পড়ছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তাহলে চিড়িয়াখানা বেসরকারি হাতে বিক্রি করতে চাইছে সরকার! বিষয়টা পুরোটা সেরকম না হলেও, কিছুটা তাই।

সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, শহরের মধ্যে যেখানে চিড়িয়াখানা রয়েছে সেখানে জমির দাম সোনার দামের বেশি। তাই চিড়িয়াখানাকে অনেক আগেই কলকাতার বাইরে স্থানান্তরিত করার কথা উঠেছিল। তা ছাড়া শহরের উপর চাপ বাড়ছে, তাই আরও অধুনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকার, পুরসভা ও হিডকোর মনোভাব দেখে মনে করা হচ্ছে যে, চিড়িয়াখানার কর্মীদের কোয়ার্টার ছাড়া বাকি জমিটা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে। এমনকি প্রস্তাবিত অ্যাকোরিয়ামটিও সরকার তৈরি করবে না। তা বেসরকারি উদ্যোগেই তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হবে।

পুরসভা সূত্রে খবর, পুর আইন ১৯৮০-র ৩৭ নম্বর ধারা মোতাবেক এই প্রস্তাব অনুমোদন করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, কলকাতা পুরসভার বর্তমান মেয়র এবং হিডকোর চেয়ারম্যান হলেই একই ব্যক্তি। তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঠিক করা হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানার আড়াইশ কাঠা জমি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য নিলাম করে দেবে সরকার। চিড়িয়াখানা ও কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য নোট চূড়ান্ত করে ফেলেছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।

মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে, জমিটির নিলামে হাত দেবে হিডকো (WBHIDCO)। চিড়িয়াখানার যে জমিটি নিলামের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে তার আয়তন ২৫৪ কাঠা তথা ১,৮২,৮৮০ স্কোয়ার ফুট। ওই জমির ঠিকানা হল, ৩৪এ বেলভেডিয়ার রোড। গত ৯ জুলাই ওই জমি পরিদর্শনে যান পুরসভা, বন দফতর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই সঙ্গে আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ও পূর্ত দফতরের প্রতিনিধি পরিদর্শনের সময়ে ছিলেন।

রাস্তার যে পাশে মূল চিড়িয়াখানার চৌহদ্দি রয়েছে, এই ভূমি খণ্ডটি রয়েছে তার অপর দিকে। এই জমিতে চিড়িয়াখার একটি অ্যকোয়ারিয়াম, একটি অডিটোরিয়াম, একটি পশু হাসপাতাল, নার্সারি ও স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। অডিটোরিয়াম আর স্টাফ কোয়ার্টারের হতশ্রী অবস্থা। তার হাল ফেরাতেই এই সিদ্ধান্ত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।