সংক্ষিপ্ত
সোমবার সন্ধ্যে পৌনে ৬টায় সময় রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠকও করেন। সূত্রের খবর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়েই কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়েছিলেন।
অবশেষে রাজভবনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মাস ছয়েক আগেই তিনি জানিয়েছিলেন তিনি রাজ্যপাল ডাকলেও তিনি রাজভবনে যাবেন না। রাজ্যপালের দরকার হলে তিনি রাস্তায় বসে কথা বলবেন। কিব্তু রাজভবনে নয়। গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিসবের দিনে তিনি ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে রেখেছিলেন। এবার সম্পূর্ণ উলট পুরাণ। তিনি সোমবার রাজভবনে গেলেন, প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গে।
সোমবার সন্ধ্যে পৌনে ৬টায় সময় রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠকও করেন। সূত্রের খবর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়েই কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই রাজভবন সফলই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি রাজ্য-রাজভবনের মধ্যে দূরত্ব বা সংঘাত কমছে।
সিভি আনন্দ রাজ্যপাল হিসেবে রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত বেড়েছে। দুই পক্ষই একে এপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস- সহ ইস্যুতেই রাজ্য ও রাজভবনের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। তবে সম্প্রতি রাজ্যের উপনির্বাচনে ৬ বিধায়ককে বিধানসভায় গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে দিয়ে আসেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী নীরবেই রাজভবনে যায়। যদি উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয় তাহলে তা রাজ্যের জন্য সুখবর। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই উপাচার্য ইস্যুতে জট রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।