সংক্ষিপ্ত
স্বাধীনতা দিবসের দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে গেলেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতেই রাজভবনে গেলেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি রাজভবনে গেছেন বলেও জানিয়েছেন। রাজভবনে মহিলা কর্মীর শ্লিলতাহানি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি রাজভবনে আর একা যাবেন না।
রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি একা আসিনি। আমাদের সঙ্গে ১০-১২ জনের একটি দল রয়েছে। আমি বলেছিলাম আমি একা রাজভবনে আসব না। আমার সমস্যা রয়েছে। আমার সঙ্গে ১০ জনের প্রতিনিধি দল আছে।' মমতা আরও বলেন, প্রয়োজনে তাঁকে রাজভবনে আসতেই হয়। সরকারি প্রয়োজনে তাঁকে যেতে হয়। কিন্তু তিনি একা আসবেন না- এটাই বলেছিলেন, যখন মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। যদিও সেই ঘটনা বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারাধীন।
বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ নেওয়াবেন না? কেন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন না? এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল। পরে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয় রাজ্যপালের তরফে।
মানহানি সংক্রান্ত মামলাটিতে সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। শুক্রবার তার শুনানি ছিল। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সিঙ্গল বেঞ্চকেই। সব পক্ষের কাছ থেকে নতুন করে হলফনামা জমা নেবে আদালত। তার পর সব দিক বিবেচনা করে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।