সংক্ষিপ্ত

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুজো সংগঠক হিসেবে অরূপ ভাল। তারপরই কিছুটা অভিমানের সুর পার্থর গলায়। তিনি মান্না দে-র বিখ্যাত গানের কলিও আওড়ালেন। তিনি বলেন, 'হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে।'

 

নাকতলার পুজোর মানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো। কিন্তু এবার নাকতলার পুজো থেকে কাটা পড়ে গেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি মামালয় জেল বন্দি তিনি। জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত হতে এখনও ঢের দেরি রয়েছে। এই অবস্থায় নাকতলার পুজো নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই আদালতে চত্ত্বরে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে গাইলেন মান্না দে-র গানও।

জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানির জন্যই আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জিজ্ঞাসা করা হয় নাকতলার পুজো নিয়ে। কারণ এই পুজো থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে আরূপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পুজো কমিটির উপদেষ্টা অরূপ বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, ক্লাবেরও মুখ্য উপদেষ্ট তিনি। তাই নিয়ে কিছুটা অভিমানের সুর প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, পুজো সংগঠক হিসেবে অরূপ ভাল। তারপরই কিছুটা অভিমানের সুর পার্থর গলায়। তিনি মান্না দে-র বিখ্যাত গানের কলিও আওড়ালেন। তিনি বলেন, 'হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে।'

নাকতলার পুজো মানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। খুঁটি পুজো থেকে শুরু করে সবেতেই সামনের সারিতে থাকতেন তিনি। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই পার্থ পুজোর জাঁকজমক ছিল চোখে পড়ার মত। ক্ষমতায় আসার পর তা আরও বেড়ে যায়। মন্ত্রীর পুজো বলে কথা! সেলিব্রিটিরাও আলো করে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার পুজোতে। পুজোর পাঁচটা দিন গোটা এলাকা জুড়ে থাকত উৎসবের মেজাজ। থিমের পুজো , ঝকঝকে প্রতিমা- সব মিলিয়ে রূপকথার গল্প ছিল নাকতলা উদয়ন সংঘের দুর্গাপুজো। যার ছন্দপতন ঘটে গত বছর। পুজোর আগেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গত বছর পুজো জেলে কাটিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার পুজো কি হবে? জামিন মামলার শুনানি ৯ অক্টোবর। দুর্গাপুজোর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে।

যদিও সিবিআইএর দাবি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একটি শুনানিতে সিবিআই আইনজীবী বলেছিলেন, প্রাক্তন মন্ত্রীর নাকতলার বাড়ি ছিল হাইসিক্যুউরিটি জোন। সেখানে ঢোকার আগে রেজিস্টারে নাম লিখে ঢুকতে হয়। সিবিআই আরও জানিয়েছে, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে কখনও কখনও বাড়িতে ডেকে নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকা দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নাকতলার বাড়িতে অবারিত দার ছিল প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংহের মতে মিডিলম্যানদের। যারা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলতেন। পার্থর নাকতলার বাড়িতে তৈরি হত নিয়োগ সংক্রান্ত বেআইনি তালিকা। এদিন আলিপুরের সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে রীতিমত বিস্ফোরক ছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। নথি বিকৃতি বেআইনি নিয়োগ, টাকা আদায়-সহ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।