সংক্ষিপ্ত
দীস্পিতা ধর বলেন, সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। তাঁকেও টেনে হিঁচড়ে বার করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলনে, তাঁর প্রশ্ন এতো লুকোনোর কী রয়েছে পুলিশের।
আরজি কর কাণ্ডের মতই যাতে জয়নগরের নির্যাতিতার পরিণতি না হয় তার জন্য প্রথম থেকেই সচেতন ছিলেন মৃতার পরিবার। তাঁরা সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য প্রথম থেকেই চাপ দিচ্ছিল। পাশাপাশি সক্রিয় ছিল একাধিক রাজনৈতিক দলও। জয়নয়গের নির্যাতিতার দেহ শনিবার রাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেত্রী দীস্পিতা ধর। তারই সঙ্গে শুরু হয়ে যায় পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি। দীস্পিতা ধরকে মর্গে থেকে টেনে বার করে আনার চেষ্টা করে স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা। সেই সময়ই বামনেত্রী পুলিশের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেন, 'এতহবার বডি লোপাট করেছিস শান্তি হয়নি! এবার তো দশ বছরের মেয়ে আবার...'
দীস্পিতা ধর বলেন, সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। তাঁকেও টেনে হিঁচড়ে বার করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলনে, তাঁর প্রশ্ন এতো লুকোনোর কী রয়েছে পুলিশের। 'ভিরতে কী এমন ছিল যেটা দেখতে পেরে পুলিশকে সমস্যায় পড়তে হবে। তাহলে আরজি করের মতে কুলতলির বাচ্চা মেয়েটারও বডি লোপাট করেছে পুলিশ? কাকে বাঁচাতে চাইছে তারা?'
জয়নগরে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয় স্থানীয় মানুষ। বাম ও বিজেপির পক্ষ থেকে দেব সংরক্ষণের দাবি করা হয়। কারণ আরজি করের নির্যাতিতার ময়না তদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। কিন্তু আরজি করের নির্যাতিতার দেহ দ্রুত দাহ করা হয়েছিল। তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের সুযোগ ছিল না। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় তারজন্য প্রথম থেকেই সক্রিয় রয়েছে বাম ও বিজেপি।
টিউনশন পড়তে গিয়ে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১০ বছরের ছাত্রী। ক্লাস ফোরে পড়ত। তারপর খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই রাতের বেলা বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। তারপরই পরিবার ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ তোলে। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ যদি দ্রুত পদক্ষেপ করতে তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। কিন্তু পুলিশ ছিল উদাসীন। যদিও পুলিশ সুপার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।