সংক্ষিপ্ত

সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। আর এরপরেই আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতাকে সাসপেনশনের প্রস্তাব আনা হয়।

২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধানসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেনশনের প্রস্তাব আনা হল। প্রথমে প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। অধ্যক্ষর চেয়ারের অসম্মান করা হয়েছে, এই অভিযোগে আনা হয় সাসপেনশনের প্রস্তাব। সাসপেনসনের প্রস্তাব এনেও পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পরে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন অধ্যক্ষর চেয়ারের অসম্মান হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দিনহাটার বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর। পরে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু স্পিকারের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, উনিই (স্পিকার) বিধানসভার গরিমা নষ্ট করেছেন।” তিনি যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সেগুলোর দিকে নজর দিলে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় তদন্তের মুখে পড়তে হবে না বলে দাবি করেন তিনি। আর এরপরেই আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতাকে সাসপেনশনের প্রস্তাব আনা হয়। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে যায়। যদিও এরপরেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়কদের হয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিন তিনি।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও শুভেন্দু অধিকারী বলেন “রাজ্যপালকে দিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ানো হচ্ছে।” রাজ্যপালের বক্তব্যে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও ছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুভেন্দু রাজ্যের ‘সন্ত্রাস’ এবং ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে সরব হন। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা না হলেও তৃণমূল নেতারা হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় অনুদান হিসাবে পাওয়া অর্থ অন্য খাতে খরচ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের একাধিক বিধায়ক জেলে থাকলেও এ সব প্রসঙ্গ কেন রাজ্যপালের ভাষণে শোনা যায়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এদিকে, রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে জবাবি বক্তব্য রাখতে উঠে শুরুতেই স্পিকারের কাছে ‘শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা’ চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জানা যায় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। পরে বিধানসভার তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার হয়ে ক্ষমা চাওয়ায় ওই সাপপেনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্পিকার। শুভেন্দু সাসপেন্ড হলে বাজেট অধিবেশনের বাকি পর্বে বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারতেন না।