- Home
- West Bengal
- Kolkata
- আরজি কর মামলায় CBI-এর বড় অস্ত্র সঞ্জয়ের বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স, সোমবার থেকে লাগাতার শুনানি
আরজি কর মামলায় CBI-এর বড় অস্ত্র সঞ্জয়ের বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স, সোমবার থেকে লাগাতার শুনানি
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি কর মামলা
সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে আরজি করের তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ মামলার শুনানি শুরু হবে। আদালতের নির্দেশে রোজ এই মামলার শুনানি হবে। আর সেই কারণেই নিজেদের সপক্ষে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সিবিআই-এর আইনজীবী।
প্রথম দিনই সাক্ষ্য গ্রহণ
সূত্রের খবর প্রথম দিনের শুনানি থেকেই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে আদালত।
সাক্ষী কে কে
আদালত সূত্রের খবর আরজি করের তরুণী চিকিৎসক খুন ও হত্যাকাণ্ডে সিবিআই-এর জেওয়া চার্জশিটের প্রথমেই রয়েছে নিহতের পরিবার ও পরিচিতদের নাম। তাই তাদের সাক্ষ্য প্রথমে গ্রহণ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই নজরে সঞ্জয়
আরজি হত্যাকাণ্ডে সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তাই সঞ্জয়ের দিকে কড়া নজর দিয়েছে সিবিআই।
মূল অস্ত্র
সিবিআই সূত্রের খবর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। কিন্তু সিবিআই- কর্তার সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বায়োলজিক্যাল এভিডেন্সকেই মূল অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে।
বায়োলজিক্যাল প্রমাণ
আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর বিভিন্ন পোশাক, কম্বল, বিছানার চাদর, কাপড়ের টুকরো, ম্যাট্রেসের টুকরো, সিন্থেটিক তুলো এগুলি সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে খাড়া করতে চায় সিবিআই। এছাড়াও নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হয় নির্যাতিতার নখ, রক্ত, ঠোঁট, যৌনাঙ্গের সোয়াব। ঘটনাস্থল থেকে চুলও উদ্ধার হয়। এছাড়াও অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পোশাক।
নির্যতিতার সোয়াব
নির্যাতিতার দেহের ওপরের অংশে সোয়াব উদ্ধার হয়েছিল। সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষা করে সিবিআই। সূত্রের খবর এই সোয়াবও প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
যৌনাঙ্গ থেকে উদ্ধার সোয়াব
সিবিআই সূত্রের খবর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গ থেকে যে তরল পদার্থ উদ্ধার হয়েছিল সেটির ফরেন্সিক রিপোর্ট করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী মহিলার যৌনাঙ্গে কোনও পুরুষের সিমেন নয়।
তাই জোর সোয়াবে
সিবিআই সূত্রের খবর, নির্যাতিতার শরীরের ওপরের অংশেও সোয়াব উদ্ধার হয়েছিল। সেই সোবায়ে ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হয়েছে।
সোয়াবের ডিএনএ
সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষা না হলে কোনওমতেই বোঝা সম্ভব নয় যে, আসল অপরাধী কে। বিশেষ করে ধর্ষণের অভিযুক্ত কতজন, তার জন্যও প্রয়োজন ডিএনএ পরীক্ষা। সেই কারণে অতিরিক্ত ব্যয় করেও একাধিক নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করায় সিবিআই। ওই নমুনাগুলোই সিবিআইয়ের পরিভাষায় ‘বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স’।
সঞ্জয়ের মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা
সিবিআই সূত্রের খবর, হাতে শক্ত প্রমাণ পাওয়ার জন্য সঞ্জয়ের মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করা হয়। তাতেই স্পষ্ট সঞ্জয় যৌনকর্মে সক্ষম।
ডিএনএ পরীক্ষা সঞ্জয়ের
সঞ্জয়ের চুলের ডিএনও পরীক্ষা করা করা হয়েছে। নির্যতিতার দেহের ওপর পাওয়া লালারসের সঙ্গে মিলেগেছে সঞ্জয়ের ডিএনও।