সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার। সিবিআই সূত্রের দাবি, তার আমলেই বেশিরভাগ আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতির তথ্যও।

আরজি কর হাসপাতালকাণ্ডে টানা ১৬ দিন জেরা করার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বেআইনি কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার অধিকাংশই সন্দীপের আমলে হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রের দাবি।

সন্দীপ বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, দুর্নীতি, টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, সরকারি টাকা নয়ছয়, হাসপাতালের কাজের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাতেই সামনে এসেছে, স্বাস্থ্য দফতরের কেলেঙ্কারি। পোস্টিং নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের দেদার দুর্নীতির তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। তাতেই সিবিআই কর্তারা জানতে পেরেছে আরজি কর থেকেই সমস্ত কলকাঠি নাড়ান হত। প্রচুর প্রচুর টাকার বিনিময় সংশ্লিষ্টকে পছন্দের পোস্টিং পাইয়ে দেওয়া হত বলেও সূত্রের খবর।

আরজি কর হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির আবেদনের ভিত্তিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়। তদন্ত শেষ হতে আরও সময় লাগবে। তাই মূল ঘটনার সঙ্গেই ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও সিবিআই করবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মর্মে সিবিআই আজকে নিয়ে মোট আটবার সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জেরাও করেছে। তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও হতে পারে। সন্দীপ বারবার বয়ান বদল করছে বলেও অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার।

তদন্তের ভার হাতে নিয়েই সিবিআই টানা জেরা করে সন্দীপ ঘোষকে। পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালেও একাধিক বার গিয়ে সবকিছু ক্ষতিয়ে দেখ। অধ্যেক্ষের ঘরেই দিয়েছিল সিবিআই।