সংক্ষিপ্ত
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ মামলায় এবার আদালতের নিশানায় সিবিআই। দেরিতে আসার জন্য রীতিমত ধমক খেতে হল আইনজীবীকে। শুক্রবার আরজি -কাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ভার্চুয়াল শুনানির জন্য শিয়ালদহ কোর্টে হাজির করা হয়। কিন্তু সেই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পরেও অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআই আইনজীবী। তাতেই উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। রেগে গিয়ে সঞ্জয়কে জামিন দিয়ে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন আইনজীবী। যদিও পরবর্তীকালে পিছিয়ে আসেন। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
সঞ্জয় রায়ের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী কবিতা সরকার। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪০ মিনিট পরে সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হন। শুনানি শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও উপস্থিত ছিলেন না সিবিআই আইনজীবী। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে যিনি উপস্থিতি ছিলেন তিনি নিজেকে তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবেই পরিচিয় দেন। তারপরই ধৃতের আইনজীবী জানতে চেয়েছিল তার কাছে সিবিআই-এর হয়ে বলার জন্য অনুমোদন রয়েছে কিনা। যদিও মামলা শুরুর সময়ই সিবিআই-এর আইনজীবী খোঁজ করেন বিচারক। তখন মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছিলেন আইনজীবী কোথায় আছে তা খোঁজ নিয়ে জানাবেন। এরপরই মহিলা আধিকারিক আদালত থেকে বেরিয়ে যান। বাইরে গিয়ে ফোন করেন। তারপর আদালতের ভিতরে ঢুকে বিচারককে জানান কিছুক্ষণের মধ্যেই আইনজীবী আদালতে পৌঁছে যাবেন। তাতেই ক্ষব্ধ বিচারক বলেন, 'তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব? '
যদিও তারপরই বিচারক বলেন, 'সাড়ে চারটে বেজেছে আইনজীবী কখন আসবেন? দেখুন কোথায় আছেন!' এই কথাবার্তার প্রায় ৪০ মিনিট পরে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে আদলতে যান সিবিআই আইনজীবী দীপক পোরিয়া। তিনি আদালতে জানান, তিনি সিবিআই-এর পূর্ণ সময়ের আইনজীবী। জামিনের বিরোধিতাও করেন।
যদিও সিবিআই-এর আইনজীবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ধৃতের আইনজীবী। তিনি বলেন, আগের দিন যিনি ছিলেন তিনি অন্যজন। আইনজীবী কবিতা সরকার আরও বলেন, ধৃত ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নয়। ধৃতের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা আগের জামিন মামলাও নেই। ধৃত কলকাতার বাসিন্দা। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, এই মামলার কোনও অগ্রগতি নেই। তাই তিনি জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। যদিও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়ে যায়।