সংক্ষিপ্ত

এই ঘটনায় এবার সম্ভাব্য অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ। ওই অশান্তির ঘটনার ২৬টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চেয়েছে পুলিশ।

স্বাধীনতার রাতের দিন মেয়েদের রাত দখলের রাত ডাক দেওয়া হয়েছিল।রাজ্যের নানা প্রান্তের মতো আন্দোলনের মূল স্থল আর জি কর হাসপাতালে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতীদের একটি দল প্রায় ৪০ মিনিট তাণ্ডব চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের। তাদের মারমুখী মেজাজের সামনে ভয় পেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকেও।

এই ঘটনায় এবার সম্ভাব্য অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ। ওই অশান্তির ঘটনার ২৬টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চেয়েছে পুলিশ।

সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে লেখা হয়েছে— ‘‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’’ তারই সঙ্গে ইংরেজিতে লেখা বার্তা— ‘‘যে কেউ নীচের ছবিতে লাল রঙে বৃত্তাকার ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারেন। সরাসরি আমাদের কাছে বা আপনার স্থানীয় থানার মাধ্যমে তা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’’

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ শুরুতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। হঠাৎ হামলার ঘটনায় কেন দ্রুত পদক্ষেপ করল না পুলিশ, উঠেছে সেই প্রশ্ন। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর) প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে, তা ভুল প্রচারের জন্য হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।’’

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।