সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই কর্মবিরতি এখনই প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।
রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ) এবং নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) বিপরীত পথে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১১ দিনের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা জানায় আরডিএ ও এইমস। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত এক বা একাধিক ব্যক্তির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ফলে এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে না। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারি হাসপাতালেই আপাতত স্বাভাবিক পরিষেবা পাওয়া যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের পর এখন আর জি কর সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। কতদিনে এই ঘটনার সব রহস্য উদঘাটন করা হবে এবং সাজা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলার চিকিৎসকরা তাঁদের মৃতা সহকর্মীর ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে তৈরি।
৯ অগাস্ট থেকে টানা আন্দোলন
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারি হাসপাতাল এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। টানা ১১ দিন ধরে কর্মবিরতি চালান চিকিৎসকরা। তবে বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এরপরেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা জানায় আরডিএ ও এইমস।
মূল দাবিতে অনড় বাংলার চিকিৎসকরা
পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলরনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের মূল দাবি ছিল দোষীর শাস্তি ও ন্যায়বিচার। এই দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাস, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১১ দিনের কর্মবিরতি প্রত্যাহার চিকিৎসকদের
পড়ুয়াদের আন্দোলনে নমনীয় স্বাস্থ্য ভবন, আর জি করের নতুন অধ্যক্ষের বদলি