সংক্ষিপ্ত
শনিবার, ৩১ অগাস্ট, সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই অফিসে যেতে দেখা যায়নি। এর আগে প্রায় নিত্যদিন সকাল থেকে- ম্যারাথান জেরার মুখোমুখি হয়ে হয়েছে সন্দীপকে।
১৫ অগাস্ট থেকে সিবিআই আরজি কর হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে। ১৬ অগাস্ট আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে তুলে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। তারপর থেকে প্রায় নিত্যদিনই সন্দীপকে সিজিওতে হাজিরা দিতে গেছে। মাঝে মাত্র একটি দিন, গত রবিবার, সেদিন সন্দীপ সিবিআই দফতরে যাননি। কিন্তু সেই দিন সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু আজ কী হল? আজ সন্দীপকে যেমন যেতে দেখা গেল না সিবিআই দফতরে, তেমনই সন্দীপের বাড়িতেও গেল না সিবিআই। তাহলে সন্দীপের জেরা শেষ? এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
শনিবার, ৩১ অগাস্ট, সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই অফিসে যেতে দেখা যায়নি। এর আগে প্রায় নিত্যদিন সকাল থেকে- ম্যারাথান জেরার মুখোমুখি হয়ে হয়েছে সন্দীপকে। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের পাশাপিশ আরজি করের আর্থিক কেলেঙ্কারির সব ইস্যুতেই প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জেরায় দেরবার হতে হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। আর সেই হাজিরার ছেদ পড়ল। সিবিআই সূত্র এই বিষয়ে এখনও কিছুই জানায়নি।
তবে সিবিআই সূত্রের খবর, সন্দীপ আরজি কর কাণ্ডে তাঁদের স্ক্যানারে রয়েছে। সেই কারণ আদালতের অনুমতি নিয়েই তাঁর পলিগ্রফ টেস্ট হয়েছে। দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পিছনে বড় ষড়যন্ত্রই দেখছে সিবিাই। তবে এদিনই সিবিআই সূত্রের খবর ছিল তারা হাতে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাতেই সিবিআই জানতে পেরেছে, আরজি কর হাসপাতালের ক্রাইম সিনে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আগেই পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনার দিনের কথা টাইম লাইনে ফেলে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে সিবিআই। খুঁজে পেতে চাইছে আসল সত্য।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের হাতে পৌঁছেছে বেশকিছু তথ্য আর কতগুলি সিসিটিভি ফুটেজ। তাতেই তাঁরা ঘটনার দিনের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খতিয়ে দেখছেন। সূত্রের খবর ৯ অগাস্ট সকালেই আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সকাল ১০টা নাগাদ আরজি করের এক চিকিৎসকের থেকে ফোন পেয়েই গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন সন্দীপ ঘোষ। তারপরই দ্রুত তিনি এমার্জেন্সি ভবনের চার তলায় চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার হলে পৌঁছান। সেখানেই সন্দীপ ঘোষ পৌঁছানর আগে থেকেই উপস্থিত ছিল কলকাতা পুলিশ।