সংক্ষিপ্ত

নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সূত্রের খবর, আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসতে রাজি নন তাঁরা। প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় বসে থাকার কথাও ভাবছেন তাঁরা।

কী হবে আন্দোলনের রূপরেখা- নবান্ন থেকে ফিরে গিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক জুনিয়া ডাক্তারদের। সূত্রের খবর আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসতে রাজি নয়। কিন্তু নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় কী হবে আন্দোলনের গতিপথ তাই নিয়ে আলোচনায় বসেছে জুনিয়র ডাক্তাররা।

সূত্রের খবর জুনিয়র ডাক্তারদের একটা অংশ জানিয়েছে,প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় বসে থাকবে। কিন্তু কিছুতেই তিলোত্তমার বিচারের দাবি থেকে পিছেয় আসবে না। এক জুনিয়ার ডাক্তার জানিয়েছেন, তাঁরা নবান্নে জিয়েছিলেন। তাদের ছোট বোনের বিচার চাইতে। ভবিষ্যতে যাতে এই জাতীয় ঘটনা আর না ঘটে তা নিশ্চিয়তা চাইতে। কিন্তু খাতি হাতেই ফিরতে হল। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের ওপরই ভরসা রেখে তাঁরা নবান্নে গিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তারা খুবই হতাশ।

জুনিয়ার ডাক্তারদের ৩০ জনের প্রতিনিধি দল এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে নবান্নে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি ছিল বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং-এর। বৈঠকের স্বচ্ছতা রাখার জন্যই এই দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু আরজি কর মামলা চলছে তাই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না। তারপরই জুনিয়ার ডাক্তাররা নবান্নের সামনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে হতাশা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীও নবান্ন থেকে বৈঠক হচ্ছে না বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন।

নবান্ন থেকে এদিন বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মনোজ পন্থ। সেখানে বলা হয়েছিল তাদের ১৫ জন প্রতিনিধি আসতে পারেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা পাল্টা জানিয়েছিল দিয়েছিল তাদের তরফে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল যাবে।তারপরই নিজেরাই বাসের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্যভবন থেকে নবান্নে যান। স্লোগান দিতে দিতে নবান্নে প্রবেশ করেন। আর বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্লোগান দেন।