সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা জেরা করে চলেছে সিবিআই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে কী প্রমাণ পাওয়া গেল তাও স্পষ্ট নয়।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে গ্রেফতার করা নিয়ে কলকাতা পুলিশকে চেপে ধরল হাইকোর্ট। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সায়নের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, 'ধৃত ব্যক্তিকে কি হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে? আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করেনি পুলিশ?' সায়নের আইনজীবী বলেন, 'আমার মক্কেল কাউকে আঘাত করেননি, পুলিশের উপর হামলা চালাননি। পুলিশের কাছে এরকম কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। তা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' পাল্টা পুলিশের যুক্তি, নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই মিছিল ঘিরে অশান্তি হয়েছে। এর দায় সায়নের উপরেই বর্তাচ্ছে। পুলিশের এই যুক্তি শুনেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষর প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি।
তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগে গ্রেফতার সায়ন!
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন সায়নের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছে কি না, এই প্রশ্নও তোলেন সায়নের আইনজীবী। তিনি আরও জানান, সায়নের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ মিছিলের দাবি অস্বীকার পুলিশের
মঙ্গলবার যাঁরা নবান্ন অভিযানে গিয়েছিলেন, তাঁরা দাবি করেছেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ও পুলিশের দাবি, মিছিল থেকেই অশান্তি ছড়িয়েছে, পুলিশকর্মীদের আক্রমণ করা হয়েছে। কয়েকজন পুলিশকর্মী আহতও হয়েছেন। মিছিলে অশান্তির প্রমাণ হিসেবে আদালতে কয়েকটি ছবিও দেখিয়েছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে ‘লালবাজার অভিযান’, অভিযানের ডাক দিল জুনিয়র ডাক্তাররা