সংক্ষিপ্ত

নিজের নাম বলতে পারলেও ভারতের নাগরিক হিসেবে কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশেই ঘাপটি মেরে বসে অনুপ্রবেশকারী। 

ভারত বাঙ্গালদেশ সীমান্তে দীর্ঘ দিন ধরেই অব্যাহত রয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ চলছে বলেও দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেই দাবিতে শিলমোহর পড়ল খাস কলকাতার উদাহরণ দিয়েই। উৎসবের রাতেই একেবারে সীমানার প্রান্ত থেকে খোদ মহানগরীর বুকে এসে পৌঁছলেন এক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী। 

-
 

২ জানুয়ারি শিয়ালদহ স্টেশনে একটি অভিযান চালিয়েছিল রেল পুলিশ বাহিনী। সেই সময়েই শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশে থাকা একজন ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। তাঁকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। ধৃত ব্যক্তি নিজের নাম পুলিশের কাছে বলতে পারলেও তিনি যে ভারতেরই নাগরিক, এমন কোনও বৈধ কাগজপত্র তাঁর কাছে ছিল না। এরপর আরও চাপ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি স্বীকার করে নেন যে, সুদূর মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কলকাতায় ঢুকেছেন তিনি। 


আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেছিলেন ধৃত ব্যক্তি। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে অবৈধভাবে ভারতের সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর, ২ জানুয়ারি বনগাঁ থেকে একটি লোকাল ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছন তিনি। গোপন সূত্রে এই খবর এসে পৌঁছেছিল আরপিএফ-এর কাছে। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালাতেই শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে পিছন দিকে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তিকে। 



সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাকড়াও করে রেল পুলিশ।  তারপর তাঁকে শিয়ালদহ জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাঁকে সন্দেহজনক রোহিঙ্গা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে।