সংক্ষিপ্ত

শুভ্রা দেবীর অভিযোগ অত্যন্ত চড়া দামে জিনিস বিকোচ্ছে বাজারে। একটা ফুলের দাম ১৫-২০ টাকা চাইছে, মালা কিনতে গেলে খরচ করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।

কোনও প্রতিমা নয়, ছোট্টবেলা থেকে যে ছবিতে পুজো করে আসছেন, আজও সেই ছবিতেই সরস্বতী পুজো নিষ্ঠাভরে করে আসছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বায়োলজির শিক্ষিকা শুভ্রা দত্ত। বাড়িতে পুজো হয়, সেই সঙ্গে রয়েছে স্কুলের সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব। ফলে সরস্বতী পুজোর দিন দম ফেলারও ফুরসত থাকে না এই শিক্ষিকার। খুব মন দিয়ে তাঁকে বাজার করতে দেখা গেল গড়িয়াহাটে। ভিড় সামলে অতি যত্নে বেছে নিলেন পুজোর যাবতীয় সামগ্রী। সেইসঙ্গে একটু কথা বলে নিলেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে। 

তবে বাজার করতে গিয়ে অভিযোগ করলেন চড়া দামের। শুভ্রা দেবীর অভিযোগ অত্যন্ত চড়া দামে জিনিস বিকোচ্ছে বাজারে। একটা ফুলের দাম ১৫-২০ টাকা চাইছে, মালা কিনতে গেলে খরচ করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তবে সেইসঙ্গে এটাও জানালেন যে করোনা মহামারীর পর বাজার খুলেছে, তাই চাহিদার সঙ্গে দামও থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। বাজারদরের ধাক্কা সামলে শিক্ষিকা জানালেন সরস্বতী পুজোর দিন তাঁর ব্যস্ততার কথা।

এদিন ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় তাঁর ছোটাছুটি। স্নান করে উঠে বাড়ির পুজো সেরে চলে আসা স্কুলে। সেখানে খুব বড় করে প্রতিষ্ঠিত সরস্বতী প্রতিমায় পুজো হয়। দেওয়া হয় ভোগ। সেই ভোগে থাকে খিচুড়ি, বাঁধাকপির তরকারি, মিষ্টি, মাকে দেওয়া হয় কুলের চাটনিও। বায়োলজির শিক্ষিকা জানান সরস্বতী পুজোর আগে কুল খান না কখনও। এই নিয়ম সেই ছোট্টবেলা থেকে চলে আসছে। আজও তার অন্যথা হয়নি। এইভাবেই কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর তাঁর সরস্বতী পুজো।

এদিকে, গড়িয়াহাট বাজারে মঙ্গলবার থেকেই নজরে পড়েছে ভিড়। ২৫০ টাকা থেকে শুরু প্রায় ২৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের প্রতিমা সাজানো। গড়িয়াহাট বাজারে সরস্বতী পুজোর আগের দিন যেদিকে চোখ যায় শুধু থরে থরে বীণাপানির মূর্তি বসানো। বিক্রি যে একদম হচ্ছে না তা নয়, তবে আগুন বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালি। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ভিড় আরও বেড়েছে বুধবারে। বুধবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে বাজারে। সাধ্যমত সাধ মিটিয়ে কেনাকাটা সেরে বাড়ির পথ ধরেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের আশা মিটিয়ে বুধবার বিকেলেও ভালোই জমে উঠেছে সরস্বতী পুজোর বাজার।

তবে বাজার যে বেশ ছ্যাঁকা দিচ্ছে, সেকথা স্বীকার করছেন বিক্রেতারাও। ফলমূল, ফুল থেকে মিষ্টি, দশকর্মার যাবতীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁয়া। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে দেবী সরস্বতীর মূর্তির দামও। একদম ছোট ছোট মূর্তির দামই পড়ে যাচ্ছে ২৫০ টাকা। একটু বড় মূর্তির দিকে হাত বাড়ালেই প্রায় হাজার টাকার দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। তবে ইতিমধ্যেই কুমোরটুলি থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাবগুলিতে প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে।