সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। এই অবস্থায় জুনিয়রদের পাশে দাঁড়াল সিনিয়ররা।
বুধবার সন্ধ্যায় শর্তের তালিকা দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। জানিয়েছেন, শর্ত মানলে তবেই হবে বৈঠক। তবে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। এই অবস্থায় জুনিয়রদের পাশে দাঁড়াল সিনিয়ররা। তাঁদের বক্তব্য, কাউকে সাসপেন্ড করলে ওপিডি ওয়ার্ক তুলে নেওয়া হবে।
বুধবার নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া মনোভাব ব্যক্ত করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বলেন, কাকে কোন পদে রাখা হবে? অথবা সরকার কাকে রাখবে বা ছাড়বে সেটা জুনিয়র ডাক্তাররা ঠিক করতে পারেনা। তিনি বলেছিলেন, জুনিয়ররা কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থ নিতে পারে। তবে, এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সময় দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা ৩১ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন। যদিও দুই পক্ষের দাবি আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। কিন্তু, এখনও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।
এদিকে আবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দেওয়া। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্য সরকার খোলা মনে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। শর্ত দিয়ে খোলা মনে আলোচনা হয় না।
আগস্ট মাস থেকে চলছে আন্দোলন। আরজি কর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার চিকিৎসকের দেহ। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সামনে আসছে একের পর এক দুর্নীতি। চলছে তদন্ত। ন্যায় বিচেরের আশায় এখনও লড়াই করে চলেছেন সকলে। চলছে কর্মবিরতিও।