সংক্ষিপ্ত

নানা রোগে ভুগতেন স্বামীজি। ছোটবেলা থেকেই অসুখবিসুখ ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। বড় হওয়ার পরেও সেই ধারা বজায় ছিল। তাঁর মা মানত করেছিলেন ছেলের সুস্থতার জন্য। মা কালীর কাছে সেই মানত করা হয়েছিল।

বাঙালির বিবেক তিনি, বাঙালির প্রাণের স্বামীজী। তিনি স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র গল্পকাহিনী, যা মণিমুক্তোর মত ঘিরে রয়েছে বাঙালির মননকে। শোনা যায় কালীঘাট মন্দিরে দন্ডি কেটেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। কিন্তু কেন! আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই কারণ।

নানা রোগে ভুগতেন স্বামীজি। ছোটবেলা থেকেই অসুখবিসুখ ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। বড় হওয়ার পরেও সেই ধারা বজায় ছিল। তাঁর মা মানত করেছিলেন ছেলের সুস্থতার জন্য। মা কালীর কাছে সেই মানত করা হয়েছিল। স্বামীজি সন্ন্যাস গ্রহণের পর বিদেশে গিয়েছিলেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর স্বামীজির মা ছেলেকে সব জানান। এরপরই স্বামীজি দণ্ডি কাটার জন্য কালীঘাট মন্দিরকে বেছে নেন। সেখানে পুজো দেন। তিনি যাবেন একথা শুনতেই সাজো সাজো রব শুরু হয় কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন বিবেকানন্দ। দণ্ডি কাটেন। মানত পূরণ হয় তাঁর মায়ের।

কিন্তু দক্ষিণেশ্বর থাকতে কেন কালীঘাট মন্দিরে গিয়েছিলেন স্বামীজি, এখানেই ওঠে প্রশ্ন। জানা যায় ১৮৯৮ সালে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথির উৎসব আয়োজিত হয় দক্ষিণেশ্বরে। বিদেশ থেকে ফিরে সেবার দক্ষিণেশ্বরে যান স্বামী বিবেকানন্দ। সেখানে প্রবল জনপ্রিয় স্বামীজিকে দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। এই ভিড় দেখে চমকে যান গোঁড়া হিন্দুদের একাংশ। তাঁদের কুনজরে পড়েন স্বামীজি। দক্ষিণেশ্বরের মন্দির কর্তৃপক্ষকে কিছু কুচক্রী অভিযোগ করেছিলেন যে স্বামীজি বিদেশে গিয়ে সাহেবদের সঙ্গে মেলামেশা করে অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়েছেন। কালাপানি পার হয়েছেন। তাই বিবেকানন্দ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ায় মন্দিরকে ফের শুদ্ধ করা হয়েছিল। সেসব দেখেই স্বামীজি মানত পূরণের জন্য দণ্ডী কাটার স্থান হিসেবে কালীঘাট মন্দিরকে বেছে নিয়েছিলেন।

এই মানত সূত্রেই কালীঘাটের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় বিবেকানন্দের। মায়ের মানত পূরণে কালীঘাটে দণ্ডি কাটেন স্বামীজি। আদিগঙ্গার ঘাটের কালীর সঙ্গে যোগ বাড়ে বিবেকানন্দের। তিনি বলেন, দক্ষিণেশ্বরের চেয়ে কালীঘাটের মন্দির অনেক বেশি স্বাধীন!

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।