সংক্ষিপ্ত

বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। নির্দেশ দেওয়া হয়ে এই সময়ের মধ্যে কোন জ্বালাময়ী মন্তব্য করা যাবে না।

সন্দেশখালি নিয়ে একের পর এক বড় খবর প্রকাশ্যে। জানা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলকে ১ মার্চ সন্দেশখালি পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছে। দলটি যাবে মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়ায়। পাশাপাশি বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। নির্দেশ দেওয়া হয়ে এই সময়ের মধ্যে কোন জ্বালাময়ী মন্তব্য করা যাবে না।

আদালত জানিয়েছে, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে স্থানীয় থানায় মুচলেকা দিতে হবে শুভেন্দুকে । তাঁর সঙ্গে দলীয় কোনও কর্মী বা সমর্থক সন্দেশখালি যেতে পারবেন না। সেখানে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না । কোনও জমায়েত বা অশান্তি করা যাবে না। এছাড়া, জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির উপরেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা আদেশের বিষয়ে স্পষ্ট করে দিল। আদালত বলেছে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে সিবিআই এবং ইডিও স্বাধীন। জেনে রাখা ভালো যে এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারির আদেশে, আদালত শুধুমাত্র ইডি অফিসারদের উপর হামলার তদন্তের জন্য একটি একক বেঞ্চ দ্বারা সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের একটি যৌথ বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন নিষিদ্ধ করেছিল। তবে ডিভিশন বেঞ্চ দেখেছে যে শেখ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক, তাই এবার তাকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হল ইডি এবং সিবিআইকেও।

হাইকোর্টের আগের আদেশ কী ছিল?

রাজ্য চলা তোলপাড়ের মধ্যেই কড়া নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানের নাম যুক্ত করতে আদেশ জারি করেছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়েও জনগণকে তথ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সন্দেশখালি মামলায় কোনো স্থগিতাদেশ নেই এবং শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার না করার কোনো কারণ নেই।

প্রধান বিচারপতির এজলাসে ইডি আশঙ্কাপ্রকাশ করে, 'পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করবে। রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করলে লঘু ধারায় মামলা হবে। তাতে শেখ শাহজাহানের জামিনের সুবিধা হবে' । সেই সঙ্গে ইডি জানায়, সিবিআই গ্রেফতার করলে কোনও অসুবিধা নেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।