সংক্ষিপ্ত
রদবদলের এই পর্ব আলোচিত হচ্ছে তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে ঘিরে। এঁদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের, একজন দক্ষিণবঙ্গের এবং শেষজন দক্ষিণ কলকাতার। এঁরা ছাড়াও সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান কি না, সেটাও এখন চর্চায়।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় ছোটখাটো একটা রদবদল হতে চলেছে। বর্তমানে ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের আয়োজন নিয়ে গোটা দলের ব্যস্ততা তুঙ্গে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে আজকালের মধ্যে মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনে ছোটখাটো বদল আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রিসভায় ছোটোখাটো রদবদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বাবুল সুপ্রিয়, ইন্দ্রনীল সেন, প্রদীপ মজুমদার ও অরূপ রায়ের দপ্তর পরিবর্তন করা হয়েছিল। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিকেরও দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, বর্তমানে রেশন দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক ওরফে বালু।
জানা যাচ্ছে ১৫ অগস্টের আগেই সরকার ও সংগঠনে রদবদল আনতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রশাসনিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রদবদলে কারও ওপর আরও দায়িত্ব যেমন দেওয়া হবে তেমনি কারও দায়িত্ব কমানোও হতে পারে।
রদবদলের এই পর্ব আলোচিত হচ্ছে তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে ঘিরে। এঁদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের, একজন দক্ষিণবঙ্গের এবং শেষজন দক্ষিণ কলকাতার। এঁরা ছাড়াও সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান কি না, সেটাও এখন চর্চায়। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজভবন-নবান্ন সংঘাত পর্বে নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় নিতে হলে, তাঁকে শপথ নেওয়াবেন রাজ্যপাল।
এই ছোটখাটো রদবদলের আগে সোমবার একঝাঁক শীর্ষ আমলার দপ্তর বদল সংক্রান্ত ফাইলে সই করেছেন মমতা। এরকম দপ্তর বদল আরও কিছু হবে বলে জানা গিয়েছে।
বারাকপুরের সাংসদ হওয়ার পর পরিষদীয় রীতি মেনে বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির বিধায়ক পার্থবাবু ছিলেন সেচ ও জলপথ দপ্তবের মন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পদে অভিজ্ঞ মানস ভুঁইয়ার নাম সর্বাধিক বিবেচনায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পর্বে উত্তরবঙ্গের এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দপ্তর রদবদলও প্রায় চূড়ান্ত। অচিরাচরিত শক্তির মতো দপ্তরের দায়িত্ব তিনি পেতে পারেন, এমনটাই চর্চায় রয়েছে। ওই দপ্তরের প্রধান সচিবও এদিনই বদল করেছেন মমতা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।