সংক্ষিপ্ত

দোষীদের শাস্তি চেয়ে গোটা দেশ সামিল হয়েছিল এক প্রতিবাদ মিছিলে। সেই সুরেই সুর মেলালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। দোষীদের শাস্তি চেয়ে গোটা দেশ সামিল হয়েছিল এক প্রতিবাদ মিছিলে। সেই সুরেই সুর মেলালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। ঘটনার রহস্যভেদ করতে মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন "রাজ্যের সরকার মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বাংলায় মহিলারা আর সুরক্ষিত নন কোনওভাবেই। সমাজ নয়, বর্তমান সরকার তার নারী শক্তিকে হারিয়ে দিয়েছে। বাংলায় তার গৌরব ফিরিয়ে আনা উচিত যেখানে মহিলাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সমাজে সম্মানজনক স্থান ছিল... মহিলারা এখন 'গুন্ডা' দের ভয় পায়, এই ইস্যু সংবেদনশীল, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ সরকার।"

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ-মৃত্যুর ঘটনায় নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি মায়ের অনুভূতিকে সম্মান করি। আইন তার গতি নেবে...।" 

 

 

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। ১৪ অগাস্ট মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচি সফল হওয়ার পর শনিবার ও রবিবার দ্বিতীয় দফায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এরই মধ্যে রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুলিশ লাঠিচার্জ, গ্রেফতার করেও এই বিক্ষোভ দমন করতে পারেনি। ফলে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ছে।