সংক্ষিপ্ত

পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আরজি কর-কাণ্ডের অভিঘাতে সেই দায়িত্ব থেকে ক্যামাক স্ট্রিট নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল সূত্রে তেমনই খবর। শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার থেকে সেই কাজ করবে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর দফতর।

জাতীয় বা রাজ্য স্তরে কোনও বড় ঘটনা ঘটলে দলের কোন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়া দেবেন, তা ঠিক করত তৃণমূল কংগ্রেসের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। চ্যানেলে চ্যানেলে বিভিন্ন বিতর্কে কারা যাবেন, তা-ও ঠিক করে দিত ক্যামাক স্ট্রিটই। সেই প্রতিক্রিয়ায় ‘পার্টি লাইন’ কী হবে, তা-ও নির্ধারিত করত অভিষেকের দফতরই। লক্ষ্য একটাই: যাতে একই সুরে সকলে কথা বলেন।

কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আরজি কর-কাণ্ডের অভিঘাতে সেই দায়িত্ব থেকে ক্যামাক স্ট্রিট নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল সূত্রে তেমনই খবর। শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার থেকে সেই কাজ করবে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর দফতর। জানা গিয়েছে আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে মমতা নিজে বৈঠক করে ‘মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়ে দেবেন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই অভিষেকের দফতর সংবাদমাধ্যম সামলানোর কাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে।

অভিষেক-ঘনিষ্ঠেরা অনেক দিন ধরেই ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, সেনাপতি প্রশাসনের অনেক কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, অভিষেক মনে করেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে জিততে হলে এখন থেকেই ‘প্রশাসনিক সংস্কার’ দরকার। তা না হলে ১৫ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা সংগঠন দিয়ে সামাল দেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে বুধবার রাতে হামলার পর অভিষেক নিজে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। দাবি জানিয়েছিলেন দল, রং না দেখে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে অভিষেকের দফতরের এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তা হলে কি দলের সেনাপতি পুলিশ তথা প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে অভিষেকের দফতরের সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত দায়িত্ব ছাড়া নতুন পর্বের ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে দলের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।