দুপুর হতেই কালো মেঘে ঢাকল আকাশ, স্বস্তির বৃষ্টিতে হাঁফ ছাড়ল শহর-শহরতলি
ধড়ে যেন আক্ষরিক অর্থেই প্রাণ এল। সকাল সাতটা থেকে রোদের তাপে তেতে পুড়ে থাকা শহর যেন বাঁচল স্বস্তির বারিধারায়। শহর কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা শুক্রবার ঘন কালো মেঘ আর ঝোড়ো বাতাসে যেন প্রাণের পরশ ফিরে পেয়েছিল।
- FB
- TW
- Linkdin
মেঘে ঢাকা বৃহস্পতিবারও পেয়েছিল রাজ্য। তবে বেড়ালের ভাগ্যে শিঁকে ছেঁড়েনি। বৃষ্টি হয়নি গতকাল। তবে শুক্রবার আশাহত হতে হল না কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাকে। পূর্বাভাস সেভাবে ছিল না। তবু বৃষ্টি, এ যেন মেঘ না চাইতেই জল!
২০২৩-এ প্রায় সপ্তাহখানেক পিছিয়ে গিয়ে এবার কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। এরপরেই এগোতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তারই হাত ধরে বাংলায় ঢুকল বর্ষা!
না, এতটাও খুশি হওয়ার দরকার নেই। কারণ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, কলকাতায় বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ এখনই থামছে না।
আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা ও অস্বস্তি খুব একটা কমবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় অতি সামান্য বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বৃষ্টির সাথে সাথে এই জেলাগুলিতে বাজ পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় আজ খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সাথে সাথে বাজ পড়তে পারে।
আজ ও আগামীকাল বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। ১২ জুন এই বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভালোরকম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস জানাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে ছয় জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। বাকি জেলাতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। বাকি জেলাতেও অস্বস্তিকর আবহাওয়া ও গরম বাড়বে।
আগামী জুলাই মাসে প্রচণ্ড গরমে পড়তে হতে পারে গোটা বিশ্বকে। এল নিনোর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
'এল নিনো' কার্যকলাপের প্রভাব পড়বে ভারতসহ গোটা বিশ্বে। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এল নিনোর ফের ফেরার কারণেই এমনটা হবে। এল নিনোর কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ভারতে বর্ষার ওপরও এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।