সংক্ষিপ্ত
ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে। এই জলীয় বাষ্প থেকেই বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত কখনও মুষলধারে, কোনও ঝিরিঝিরি বারিধারায় ভিজেছে এ শহর। তাপমাত্রায় নেমেছে স্বস্তি দিয়ে। তবে বুধবার থেকে ফের গনগনে রোদের আঁচে নিজেকে সেঁকেছে কলকাতা। তাহলে কি বৃষ্টির পালা শেষ! আবার রোদে পুড়ে-ঘামে ভিজে, একরাশ অস্বস্তি নিয়ে কাজ সারতে হবে ? সে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। তারই উত্তর দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানিয়ে দিল স্বস্তির বৃষ্টি ফের আসছে।
দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় আবার ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভিজতে পারে মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে। এই জলীয় বাষ্প থেকেই বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করছে। আর কলকাতা ? আলিপুর জানাচ্ছে কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনও এক দিন শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। রবিবার থেকে রাজ্যে আবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ভিজতে পারে কলকাতাও। তবে মাঝের দুদিন অর্থাৎ শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা ২ থেকে ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে। তবে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আপাতত আর নেই। রাজ্যে এই মুহূর্তে উত্তর পশ্চিম দিকে থেকে হাওয়া বইছে। যার ফলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমেছে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
এপ্রিলের শুরুর দিকের তীব্র তাপদাহের পর আবহাওয়ার বদল এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। বাঁকুড়া মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় স্বাভাবিকের নিচে রয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাঁকুড়া জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। পুরুলিয়াতেও স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে যায় পারদ। মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রির আশেপাশেই ছিল বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিসের রিপোর্ট।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে। বৃষ্টির সঙ্গে জারি থাকতে পারে বজ্রপাত। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলতে পারে টানা ৪ থেকে ৫ দিন ধরে। তাপমাত্রা যতটা কমেছে, তা আগামী ৫ দিনে প্রায় একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।