সংক্ষিপ্ত
গত অক্টোবর মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গে উৎসবের মেজাজ। সেই কারণেই বাড়ছে সরকারি ছুটির সংখ্যা। উৎসব ও অনুষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ ছিল রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও অফিস, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ছুটি লাগেই থাকে। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মোটামুটি পূজা পার্বণ শুরু হয়ে গেছে। আর যেই কারণে পরপর ছুটি পাবেন রাজ্যবাসীরা। অক্টোবর মাসে দীপাবলি ও দূর্গা পূজার ছুটি তো রয়েছে। নভেম্বর পড়তেই ভাইফোঁটা সহ আরও অন্যান্য অনুষ্ঠান। এছাড়া নভেম্বর মাসে আরও বেশি ছুটির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কোন কোন দিন সেই ছুটি দেওয়া হয়েছে? নতুন এই মাসের ছুটির লিস্ট দেখে নিন।
গত অক্টোবর মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গে উৎসবের মেজাজ। সেই কারণেই বাড়ছে সরকারি ছুটির সংখ্যা। উৎসব ও অনুষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ ছিল রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও অফিস, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর। দুর্গা পুজো, লক্ষ্মী পুজো হওয়ার পরে শেষ হল কালী পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো। আর এই আবহে ফের রাজ্যে আয়োজিত হচ্ছে ভোট। সূত্রের খবর, সম্প্রতি নৈহাটি, মাদারিহাট, তালড্যাংরা সহ বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে।
আর এই কারণেই নতুন করে সরকারি ছুটির ঘোষণা হলো রাজ্যে। জানা যাচ্ছে, আগামী ১৩ নভেম্বর নৈহাটি, মাদারিহাট, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং সিতাইয়ে বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং সেদিনেই বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকায় ঘোষণা করা হলো ছুটির। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফ থেকে। আর সেই বিজ্ঞপ্তি থেকেই জানা যাচ্ছে নয়া ছুটির কথা।
নভেম্বরের নতুন ছুটির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার
পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে উল্লিখিত ৬ বিধানসভা এলাকায় সকল সরকারি অফিস, সরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত, পুরসভায় একদিনের ছুটি জারি থাকবে। এবং সেই সঙ্গেই বিভিন্ন দোকান, চা বাগান, ছাড়াও শিল্প বাণিজ্যিক সংস্থা প্রভৃতির কর্মীদেরও সবেতন ছুটি দেওয়া হবে উপনির্বাচনের দিন।
ইতিমধ্যেই জানে যাচ্ছে শ্রম দফতরের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি উল্লেখ করে আলাদা নির্দেশিকা জারি করা হবে। একুশের নির্বাচনের সময় উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতেই বাজিমাত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র মাদারিহাট আসনে জিতেছিল পদ্ম শিবির। আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কোন দল আসন ধরে রাখে এখন সেটাই দেখার বিষয়।