রাজ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনও সুরাহার কথা বাজেট ঘোষণায় আনলেন না রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তবে জানালেন আগামী মার্চ থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ করে ডিয়ারেন্স অ্যালাউন্স লাগু করা হবে।
- Home
- West Bengal
- Kolkata
- WB State Budget Live: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ, বাজেট বক্তব্যে ঘোষণা চন্দ্রিমা-র
WB State Budget Live: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ, বাজেট বক্তব্যে ঘোষণা চন্দ্রিমা-র
আজ পেশ হচ্ছে রাজ্য বাজেট। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে পদক্ষেপের। কিন্তু শিয়রে সমন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ডিএ ইস্যু। অপ্রদেয় ডিএ নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। সরকারি কর্মীরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন বকেয়া ডিএ না পেলে পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করবেন না। এমন এক অস্বস্তিভরা পরিস্থিতিতে রাজ্যের অর্থভাণ্ডারেরর ভাড়ে মা ভবানী পরিস্থিতি মোকাবিলাটাও অতি জরুরি। তাই এবারের রাজ্য বাজেট অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-র কাছে সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
- FB
- TW
- Linkdin
লক্ষী ভাণ্ডারের নতুন করে ১.৮৮ কোটি মহিলাকে যুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের, লক্ষী ভাণ্ডারের সদস্য মহিলাদের বয়স ৬০ বছর পার করলে এরা বৃদ্ধা ভাতা পাবেন- বাজেট বক্তব্যে বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
১। খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৯ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা গিয়েছে- চন্দ্রিমা
২। বানতলা লেদার হাবে ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে- চন্দ্রিমা
৩। আগামী কয়েক বছরে বানতলায় আরও ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে- চন্দ্রিমা
৪। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে মিড ডে মিলে বরাদ্দ কমিয়েছে তা ঠিক নয়- চন্দ্রিমা
৫। ১০০ দিনের প্রকল্পেও বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা লজ্জাজনক- চন্দ্রিমা
৬। রাজ্যে এই মুহূর্তে এসএমই-র সংখ্যা ৯০ লক্ষ- চন্দ্রিমা
পুরুলিয়ার জঙ্গলকে ঘিরে বিনিয়োগের আগ্রহ তৈরি হয়েছে., এতে মোট ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী কয়েক বছরে .অন্তত দেড় লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর বাজেট বক্তব্যে জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদানে রাজ্য সরকার ১৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা দিয়েছে, এটা ২৫ গুণ বৃদ্ধি বলেও জানান তিনি।
অন্তত ৪৪ লক্ষ সাধারণ মানুষ যারা কোনও না কোনওভাবে ছোট অথবা বড় ফ্ল্যাটের মালিক তারা স্ট্যাম্প ডিউটি কমার ফায়দা তুলতে পেরেছেন, বাজেট বক্তব্যে দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
বাজেট বক্তব্যে চন্দ্রিমা জানিয়েছেন জিএসটি আদায়ে বাংলা রেকর্ড তৈরি করেছে, ৭০ শতাংশ থকে আদায় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৫ শতাংশ, বলতে গেলে ২৪.৪৬ শতাংশ জিএসটি আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলায়, এটা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একটা রেকর্ড বলেও দাবি চন্দ্রিমার।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণদান এবং গ্রামীণ আবাস যোজনায় দেশের সেরা হওয়ার সম্মান লাভ করেছে বাংলা, এর জন্য রাষ্ট্রপতি-র কাছ থেকে বিশেষ প্ল্যাটিনাম সম্মানে সম্মানিত হয়েছে এই রাজ্যের সরকার। বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
দুয়ারে সরকারের ৩ লক্ষ ৭১ হাজার শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং এখান থেকে ৯ কোটি রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছেন বলে জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
রাজ্য বাজেট ২০২৩-২৪-এর পেশ শুরু করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, এই অর্থবর্ষে বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ থাকবে বলে তিনি বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করলেন।
গত কয়েক মাস ধরেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে, যাদের বাড়ি পাওয়ার কথা তাদের জায়গায় অন্যরা বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ, এর জন্য কিছু তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, এমনকী আবাস যোজনার অর্থ পেতে প্রায় ৩০ শতার্শ করে ঘুষও নাকি দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। শেষমেশ পরিস্থিতি পর্যালোচনাতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এরমধ্যে মুখ পুড়িয়েছে মিড ডে মিল বিতর্ক। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনার অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অভিযোগগুলো রাজ্য সরকারের কাছে গলার কাটা। এই দুই হেভিওয়েট বিতর্ককে পাশ কাটাতে কি ধরনের ব্যবস্থা তাঁর বাজেট ফাইলে রেখেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য- তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন এই মুহূর্তে রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে, রাজ্য সরকার আয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারলেও এত বিপুল অঙ্কের ঋণের সুদ মেটাতে বেহাল অবস্থা হচ্ছে, এমতাবস্থায় বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছেন আর সরকার বেতন দিতে পারবে না, এমন গুজবের অবশ্য এখনও সত্যতা প্রমাণিত হয়নি, তবে রাজ্যের কোষাগার যে অনেকটাই ফাঁকা তা কার্যত মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিভিন্ন প্রভাবশালী মন্ত্রীদের কথাতেই ফুঁটে উঠেছে। তাই বাজেটে কীভাবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বেতন থেকে শুরু করে পেনশন এবং ঋণ শোধ, প্রশাসনিক খরচ, দফতর ভিত্তিক বরাদ্দে কি ব্যবস্থা নিতে চলেছে তা জানতেও উৎসুক অনেকে।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে সামাজিক কল্যাণ খাতে বিশেষ করে লক্ষীর ভাণ্ডার,নতুন কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প- এ কীভাবে বরাদ্দ বাড়াতে পারে রাজ্য সরকার তা নিয়ে সকলে নজর রাখছেন, এছাড়াও কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সাইকল বিতরণ এবং ট্যাব বিতরণের মতো বিষয়ে রাজ্য সরকার বরাদ্দ বাড়ায় কি না তাতেও নজর থাকবে।
এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন একযোগে ডিএ-র দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশনে বসেছে, ডিএ না মিললে এই অনশন চলবে বলেও হুমকি, তারা নবান্ন ও নির্বাচন কমিশনকে দুটি শর্ত দিয়েছেন। প্রথমত, তিন শতাংশ হারে ডিএ বাড়াতে হবে রাজ্যকে। এতে মূল বেতনের ৪২ শতাংশ ডিএ প্রাপ্তি হবে। আর দ্বিতীয়ত, শীঘ্রই রাজ্য সরকারের সকল খালি পদে নিয়োগ করতে হবে। আর এই দুই শর্ত না মানলে কোনও কর্মী ভোটের ডিউটি করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এবারের রাজ্য বাজেট-কে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গত কয়েকটি বাজেটে রাজ্য সরকার বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়েছে, কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ডিএ ইস্যু-কে সামাল দেওয়া, সেই সঙ্গে রাজকোষ শূন্য বলে বিরোধীরা যেভাবে বারবার আক্রমণ শানাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার মতো ঘোষণাও রাজ্য সরকারের বাজেট ঘোষণায় থাকতে হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।