সংক্ষিপ্ত
নবান্নের তথ্য বলছে, জেলাগুলিতে এবছর প্রায় ৪২ হাজার বারোয়ারি দুর্গাপুজো হচ্ছে। তাদের মধ্যে রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে মাত্র ৫৯টি পুজো কমিটি।
প্রতিবছরই রাজ্যের পুজোকমিটি গুলোকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে সরকারি অনুদানের দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। গত বছর ৭০০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে। এবছর সেই অনুদানের টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগের বারের চেয়ে ১৫০০০ টাকা বাড়িয়ে প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ৮৫,০০০ টাকার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছে রাজ্য। তবে, সাম্প্রতিক আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেক ক্লাবই এই অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের অনুদান ফেরানো ৫৯টি পুজো কমিটির মধ্যে ২৫টিই বিধাননগর পুলিশ জেলার অন্তর্গত! এই সব এলাকায় একদিকে যেমন অবাঙালিদের বসবাস বেশি তেমনি রাজনৈতিক দিক থেকে বিজেপির প্রভাবও বেশি এই সব জায়গায়। তাহলে কি পুজো অনুদান ফেরানোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে? প্রশ্ন তুলছে নাগরিক মহলের একাংশ।
নবান্নের তথ্য বলছে, জেলাগুলিতে এবছর প্রায় ৪২ হাজার বারোয়ারি দুর্গাপুজো হচ্ছে। তাদের মধ্যে রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে মাত্র ৫৯টি পুজো কমিটি। যেই সংখ্যাটা খুবই নগন্য। আবার যে সকল পুজো কমিটি গুলি সরকারি অনুদান প্রত্যাখান করেছে তাদের অধিকাংশই একটি নির্দিষ্ট এলাকার।
যদি পুলিশ জেলা হিসেবে দেখা হয় তাহলে বনগাঁ, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া গ্রামীণ, জঙ্গিপুর, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি গ্রামীণ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, বীরভূম এই সব কোনো জেলার কোনো পুজো কমিটিই রাজ্য সরকারের অনুদানে অনীহা দেখায়নি।
আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার খুনের বিচার এখনও বাকি। আরজি কর কাণ্ডের পর এবছরের মতো দুর্গাপুজো বন্ধ রাখার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছিল সমাজের একাংশের তরফে। বারেবারে প্রশ্ন উঠেছে এই পুজো বন্ধের নিদান কি একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ। এরই মধ্যে নবান্ন (Nabanna) তরফে যা তথ্য সামনে এসেছে তা চমকে দেওয়ার মতো।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।