সংক্ষিপ্ত
বেশ ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি করেন ডিভিসিকে। শনিবারের বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান জেলা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। আবার বাংলার ওপর দিয়েই গিয়েছে পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখাও গিয়েছে। এর জেরে দিনভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্যজুড়ে। একাধিক জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
জুলাই মাস পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি থাকলেও অগাস্টের শুরুতেই সেই ঘাটতি যেন ধীরে ধীরে মিটে যাচ্ছে। অন্ততপক্ষে অগাস্টের শুরুতেই যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে এমন পরিস্থিতি চললে বৃষ্টির ঘাটতি থাকবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হওয়ার মতো ভয়ের পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে।
এতেই বেশ ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি করেন ডিভিসিকে। শনিবারের বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান জেলা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই সঙ্গে ডিভিসিকেও কড়া বার্তা দিয়েছে নবান্ন। জানানো হয়েছে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে তবেই জল ছাড়তে হবে। ইচ্ছামত জল ছাড়া যাবে না। ডিভিসির চেয়ারম্যানকে বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
শনিবার দুপুর ২টো থেকে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকে জরুরি তলব করে উপস্থিত থাকতে বলা হয় ডিভিসির চেয়ারম্যানকে। বৈঠকে উপস্থিত থেকে ডিভিসির চেয়ারম্যানকে এই বার্তা রাজ্যের মুখ্য সচিবের। এই পরিস্থিতি কাম্য ছিল না, জানিয়েছেন মুখ্য সচিব। বার বারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে কেন ডিভিসি জল ছাড়ে? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।
উল্লেখ্য, আজ সকালেই ডিভিসি জল ছেড়েছে একাধিক জলাধার থেকে। তার জেরে হুগলি, বীরভূম, মেদিনীপুরে একাধিক এলাকা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ারে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতার একাধিক রাস্তাও জলমগ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।