সংক্ষিপ্ত

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নকশালবাড়ি বনদপ্তর ও এলিফ্যান্ট স্কটের কর্মীরা। জানা গিয়েছে শেষ পর্যন্ত গাছ কেটে বাঘটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

উত্তরবঙ্গের লোকালয়ে বন্যপ্রাণীদের দাপট ক্রমেই বেড়েই চলেছে। কখনও ভাল্লুক, কখনও বাঘ তো কখনও  হাতির দাপাদাপি দেখা যাচ্ছে লোকালয়ের অভ্যান্তরে। যা নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। এমতাবস্থায় রবিবার শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির মেচী নদী সংলগ্ন ঘুঘুঝোড়া গ্রামে একটি চিতা বাঘের দেখা মেলে। এদিন সকালে নকশালবাড়ি ব্লকের ভারত-নেপাল সীমান্ত ঘুঘু ঝরা এলাকায় গাছের মগডালে চিতাবাঘ বসে রয়েছে এই খবর চাউর হতেই উৎসাহিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ভীড় জমাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নকশালবাড়ি বনদপ্তর ও এলিফ্যান্ট স্কটের কর্মীরা। জানা গিয়েছে শেষ পর্যন্ত গাছ কেটে বাঘটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে আচমকা একটি চিতাবাঘ ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে। এদিকে সাতসকালে বাঘের দেখা পেয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। স্থানীয়রা আত্মরক্ষার স্বার্থে চিতাবাঘটিকে তাড়া করতে থাকে। আর তাতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে হাতের বাইরে যেতে শুরু করে। চিতাবাঘটিও রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভয় পেয়ে একটি এলাকায় একের পর এক গাছে লাফাতে থাকে। এমনকি শেষে চিতাটিকে একটি গাছের মগডালে উঠে পড়তে দেখা যায়। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে সে। 

আরও পড়ুন- টেস্টে বাদ পড়তেই বিসিসিআই-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ঋদ্ধি, তোপ রাহুল-সৌরভকে

অন্যন্য বন্যপ্রাণীদের দাপাদাপি দেখা গেলেও সাম্প্রতিককালে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়নি শিলিগুড়ি। এদিকে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তার পাশেই টুকুরিয়া জঙ্গল। রয়েছে চা বাগান। সেখানে চিতাবাঘের আনাগোনা কম নয়। এদিকে সীমানার ওপারে নেপালের কাঁকড়ভিটা। বাঘ আগেও বেরিয়েছে এউই সমস্ত অঞ্চলে। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সেই নজির ছিল না। স্বভাবতই এদিন ছুটির সকালটা স্বভাবতই চিতা নিয়েই কেটে যায় সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের। বাঘের খবর চাউর হতেই খবর যায় বন দপ্তরে। আসে পুলিশও। 

আরও পড়ুন-মেটেনি রাস্তা-জলের সমস্যা, পুরুলিয়ায় ভোট বয়কটের ডাক একাধিক ওয়ার্ডে

অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় তড়িঘড়ি এলাকা ফাঁকা করার কাজ শুরু হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। যদিও শুরুতে চিতাবাঘটিকে গাছের মগডাল থেকে নামাতেই কালঘাম ছোটে বনকর্মীদের। এমনকি শেষ পর্যন্ত যে গাছে বাঘটি ছিল সেই গাছটিকেও কেটে ফেলা হয়। তারপর গাড়ির সঙ্গে দড়ি বেঁধে গাছটিকে মাটিতে ফেলা হয়। এরপর চকলেট বোমা ফাটিয়ে চিতাটিকে জালবন্দি করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। শেষ পাওয়া আপডেট অনুসারে উদ্ধারের পর প্রাথিমক চিকিৎসার হয়ে গেলে বাঘটিকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন-তৃতীয় দফার ভোটে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ, যাদব ঘাঁটিতে জয় আনতে মরিয়া অখিলেশ