সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে বাংলাকেও
- এমনকী লকডাউনও হতে পারে বাংলায়
- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না প্রশাসন
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই লকডাউনের আগাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন
আতঙ্কের আর এক নাম করোনা। একের পর এক শহরে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। এই করোনা আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। । ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সকলেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সারা বিশ্বে যেমন গ্রাস করেছে করোনা তেমনি বাংলাতে এই করোনা আতঙ্কে জেরবার মানুষ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না প্রশাসন। এমনকী লকডাউনও হতে পারে বাংলায়।
আরও পড়ুন-করোনার আশঙ্কা প্রবল, জেনেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন যুবক...
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই স্থানীয় স্তরে লকডাউনের আগাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন। আক্রান্ত এলাকা থেকে যেন কেউ বেরোতে না পারে , এমনকী শুধু প্রশাসনের নির্দিষ্ট কয়েকজন বাদে যেন কেউ ঢুকতে না পারে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গণপরিবহণও বন্ধ রাখা হবে। ইতিমধ্যেই বন্ধ হতে চলেছে শহরের বিভিন্ন শপিং মল। ইতিমধ্যেই করোনা আতঙ্কের মধ্যে বন্ধ হয়েছে একাধিক স্কুল, কলেজ, অফিস, সিনেমা হল। এবার বন্ধের মুখে বিভিন্ন শপিং মল। ইতিমধ্যেই এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মধ্যে। তারপর থেকেই শপিং মলে ভিড় জমেছে সাধারণ মানুষের। করোনা ভাইরাসের জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র শপিং মল থেকে কিনে মজুত করেছেন অনেকেই। এর সঙ্গে মাসের সামগ্রী কিনে মজুদ রাখছেন সকলেই।
আরও পড়ুন-আসল বলে নকল মাস্ক বিক্রি, কীভাবে চলছে জাল কারবার...
এই অবস্থায় সবার আগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস চাল, ডাল, তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বেশি পরিমাণে মজুদ রাখছেন সকলেই। বস্তা বস্তা চাল, পেটি পেটি ডাল, তেল, মশলা মজুত করে রাখছেন প্রত্যেকেই। যদিও এই মুহূর্তে রাস্তায় যানবাহনও কমে গিয়েছে। এমনকী রাস্তায় ভিড়ের সংখ্যাও ক্রমশ কমছে। যদিও শহরের শপিং মল গুলোতেও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম লোকজন আনাগোনা করছেন। যারা আসছেন তারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই আসছেন। করোনা প্রকোপের থেকে বাঁচতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা কেউ জানে না। তাই আগামী এক মাসের জন্য সবাই সব কিনে বাড়িতে মজুত করে রাখছে। তারপর করোনার হয়েছে কিন্তু কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায়নি এই নিয়েও চিন্তিত প্রশাসন। তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া ভীষণ জরুরি।
- যতটা পারবেন ঘরে থাকুন, বিশেষ করে যদি অসুস্থ হন। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বার হওয়ার দরকার নেই।
- যদি বাইরে থাকেন অন্যদের থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। ১০ জন বা তার বেশি লোক থাকলে সেখানে যাবেন না।
- হাঁচি হলে বা কাশি হলে মুখ ঢাকা দিন। হয় কনুই ব্যবহার করুন, নয়তো টিস্যু।
- অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান আর জল দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। যদি স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন, দেখে নিন, তাতে যেন অন্তত ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে।
- বাড়িতে যে সব জায়গা নিয়মিত স্পর্শ করেন, সেগুলো পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন।
- ৩ সপ্তাহের মত খাবার সংগ্রহ করুন। চাল, ডাল, তরিতরকারি, ডিম কিনে রাখুন কিছু কিছু করে। দেখে নিন, রান্নার গ্যাস যথেষ্ট আছে কিনা। এছাড়াও টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, সাবান বাড়তি রেখে দেওয়ার কথা ভুলবেন না।
- প্রয়োজনে জল কিনে রাখুন বেশি করে। হাতের কাছেফার্স্ট এইড কিট রাখুন ।
- হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন? ফোনে সেফ করুন মেডিক্যাল এমার্জেন্সি নাম্বার। চিকিৎসকের নাম, কাছে পিঠের হাসপাতালগুলোর নাম, ফোন নম্বর থাকবে তাতে। যে ক্লিনিকগুলোতে আপনার মেডিক্যাল ইনসিওরেন্স আছে, সেগুলোরও তালিকা রাখুন, আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে এই তালিকা হাতের কাছে থাকলে বাড়ির লোকের সুবিধে হবে।
- বাড়িতে বাচ্চা থাকলে বেশি পরিমানে কিনে রাখুন ডায়াপার, বেবি ফুড সহ বাচ্চার বিভিন্ন সামগ্রী।
- সম্ভব হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও কিনে রাখুন। বা তৈরি করে নিন নিজস্ব স্যানিটাইজার।
তবে একেবারে বেশি জিনিস কিনতে অযথা কাউকে সমস্যায় ফেলবেন না। ভয় পেয়ে একেবারে বেশি জিনিস কিনে রাখলে অন্যদের সমস্যা হতে পারে। সেটা মাথায় রেখে নিজের প্রয়োজনমতো জিনিস কিনুন।