সংক্ষিপ্ত

  • উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র আর বিস্ফোরক 
  • বীরভূম থেকে উদ্ধার অস্ত্র 
  • চোরাচালান আটকে দিল 
  • কলকাতা ও বীরভূম পুলিশের যৌথ উদ্যোগ

 দীর্ঘ দিন ধরেই অবাদে অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকে সেই খরবও ছিল। রীতিমত ছককষে আন্তরাজ্য দুই অস্ত্রকারবারীকে গ্রেফতার করল কলকাতার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও বীরভূম জেলা পুলিশ। যৌথ অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেআইনী  অস্ত্র ও বিস্ফোরক। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পেয়ে সিউড়ির লাগোয়া জাতীয় সড়কে আগে থেকেই ওঁতপেতে ছিল এসটিএফ ও বীরভূমের পুলিশের একটি দল। সেই সময় পাচারের জন্য একটি ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অস্ত্রসস্ত্র ও বিস্ফোরক। সেগুলি বিহার  থেকে বাংলায় পাচার হচ্ছিল বলেই জানা গেছে পুলিস সূত্রের খবর। পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান চালিয়ে দুজন পাচারকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৫ টি অত্যাধুনিক ৭ এমএম পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড গুলি এবং ২০ কেজি বারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে হুগলির দুই বাসিন্দা লকডাউনের সুযোগে লরিতে করে অস্ত্র পাচার করত। বিহারের মুঙ্গের থেকে ঝাড়খন্ড হয়ে লরি পালটে পালটে তারা অস্ত্র এরাজ্যে কারবার করত। পুলিশ জানিয়েছে অস্ত্রের এই চোরাচালানের খবর তাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেই দলের অন্যতম পান্ডা মহম্মদ সামশের আলমকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। 

সূত্রের খবর, সিউড়ি থানায় একটি মামলাও রুজ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বেআইনী অস্ত্র বোঝাই ট্রাকটি রামপুরহাটের দিক থেকে আসছিল। সেই সময় পুলিশ রীতিমত ধাওয়া করে। পরিস্থিতি বুঝে ট্রাকটিও পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। পুলিশ ট্রাকটিকে ধরতে সক্ষম হয়। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি বলেন, “কিছু অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বাকিদের ধরতে”।