সংক্ষিপ্ত
শতাধিক হাই মাদ্রাসার ছাত্রী হিজাব পরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে কর্ণাটকের ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
কর্নাটকে একটি স্কুলে মুসলিম ছাত্রী হিজাব পড়ে ঢোকাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ তোলপাড়। এর প্রভাব পড়ল এবার বাংলাতেও। উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 pargana) বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার সাকচুড়া টাকি রোডে শতাধিক হাই মাদ্রাসার (High Madrassa) ছাত্রী (Student) হিজাব পরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ (protest) দেখালেন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে কর্ণাটকের ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
এদিন তাঁরা বলেন যেভাবে আমাদের পোশাকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রত্যেক মুসলিম ছাত্রীদের উপরে যেভাবে সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা মর্মাহত। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। ইতিমধ্যে কর্ণাটক আদালতে হিজাব পরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আরএসএস। সেই ঘটনার রেশ এবার এশে পৌঁছল বাংলাতেও।
বৃহস্পতিবার টাকি রোডের ওপর দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন মাদ্রাসার ছাত্রীরা। মাদ্রাসার ছাত্রীরা বলেন আমাদের হিজাব পরা সাংবিধানিক অধিকার, সেই অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এদিন উত্তরপ্রদেশের এক নির্বাচনী জনসভায় এই ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মুসলিম মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, মানুষ "মুসলিম মহিলাদের অধিকার ও উন্নয়নকে আটকে দেওয়ার জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে।" তিনি আরও বলেন যে মুসলিম নারীরা যাতে নির্যাতিত না হয় তা নিশ্চিত করতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার অপরিহার্য।
মোদী এদিন জনসভায় বলেন "বিজেপি সরকার মুসলিম মহিলাদের তিন তালাক থেকে মুক্ত করেছে। যখন মুসলিম মহিলারা প্রকাশ্যে মোদী সরকারকে সমর্থন করতে শুরু করেছিল, বিরোধীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা প্রতিটি মুসলিম মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছি।"
নেহেরুর জন্য কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই, মোদীকে টার্গেট রাহুলের
মমতার সব স্লোগানকে ছাপিয়ে গেল 'খেলা হবে', যোগী রাজ্যেও কী পাবে সাফল্য
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের উপকূলীয় শহর উদুপিতে একটি সরকারী প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছয়জন মুসলিম মেয়েকে হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়া হয়। জানানো হয় ওই কলেজের নিয়ম অনুসারে পয়লা জানুয়ারি থেকে হিজাব পরে কলেজে আসা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। হিন্দু কলেজের ছাত্ররা জাফরান স্কার্ফ পরে এবং জাফরান পতাকা নেড়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাদের দাবি হিজাব পরে কলেজে যেতে পারলে, তাদের ধর্মীয় পোশাক এবং প্রতীক প্রদর্শনের অনুমতিও কলেজে দেওয়া হোক।