ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর টুইট ভয় না পেয়ে প্রশাসনকে সাহায্যের আবেদন নিরাপদে সরানো হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে  

বুলবুল নিয়ে চূড়ান্ত সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষকে। ভয় না পেয়ে প্রশাসনকে সাহায্য করার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মূলত দুই চব্বিশ পরগণার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতেই বুলবুলের প্রভাবে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। সাইক্লোন রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে তাঁদের। মজুত করে রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, ওষুধ এবং ত্রাণ সামগ্রীও। 

জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ীস শুধুমাত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাতেই চুয়াল্লিশ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণায় সরানো হয়েছে তেতাল্লিশ হাজার মানুষকে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে সরানো হয়েছে উনিশ হাজার মানুষকে। 

গোটা পরিস্থিতির উপরে নজরদারি চালানোর জন্য নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কন্ট্রোল রুমে গিয়ে পরিস্থিতির তদারকি করেছেন। যে জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেশি, সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। তৈরি রাখা হয়েছে স্পিড বোট, জেনারেটরের মতো আপতকালীন ব্যবস্থাও। 

Scroll to load tweet…

এ দিন টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আমাদের রাজ্যের উপরে আঘাত হানবে। চব্বিশ ঘণ্টা ধরে আমাদের রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিশেষ কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল মোতায়েন করা হয়েছে। বিপদসঙ্কুল উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। স্কুল. কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। ভয় না পেয়ে সবাই শান্ত থাকুন। উদ্ধারকাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। সতর্ক থাকুন, নিজেদের খেয়াল রাখুন এবং নিরাপদে থাকুন।'


Scroll to load tweet…